আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে প্রিয়া সাহার মতো অতিথিকে আমন্ত্রণ করায় খুশি নয় বাংলাদেশ।
আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আশা করে, এ ধরনের বড় আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বিবেচক ব্যক্তিদের দাওয়াত দেবেন যারা সত্যিকার অর্থে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করবেন।
এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা খুশি না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অতিথিদের তালিকা করেছে এবং আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ অনেককে তারা দাওয়াত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কাকে দাওয়াত দিয়েছে সে বিষয়ে আমাদের কোনও ধারণা নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং জানার চেষ্টা করছি কেন এটি হলো।
তিনি আরও বলেন, আমরা ফেসবুক থেকে প্রিয়া সাহার কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। ফেসবুকে বিভিন্ন লোকের পোস্ট থেকে যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি সেটি হচ্ছে তার মেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে থাকে এবং তার স্বামী দুর্নীতি দমন কমিশনে কর্মরত। আমরা তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছি।
উল্লেখ্য, গত ১৬-১৮ জুলাই ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মন্ত্রী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও অনেককে সেখানে দাওয়াত দেয়া হয় যার মধ্যে প্রিয়া সাহা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু প্রিয়া সাহাকে দাওয়াতই দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যে ক্ষুদ্র প্রতিনিধি দল দেখা করেন তার মধ্যে তাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সম্মেলনে যোগ দেয়া প্রিয়া সাহা ট্রাম্পকে অভিযোগ করেন, মুসলিম উগ্রবাদীরা তার জমি দখল করে নিয়েছে এবং তিনি প্রেসিডেন্টের সহায়তা চান যাতে হিন্দু, বুদ্ধিস্ট ও খ্রিস্টানরা বাংলাদেশে থাকতে পারে। তার এ মন্তব্যে সরকার এবং দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তীব্র প্রতিবাদ করেন। এ মন্তব্য করায় কেউ কেউ তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করে।
-এএ