আওয়ার ইসলাম: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’এর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ইসকন মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে মুসলিম ধর্মীয় চেতনাবোধেও মারাত্মক আঘাত করেছে। মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে এসব মন্ত্র মুখে উচ্চারণ করার কোনো প্রকারের বৈধতা নেই।
হিন্দু সম্প্রদায় পুণ্যের আশায় দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাবারই হলো প্রসাদ। এ প্রসাদ আহার করা মুসলমানদের জন্য হারাম। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবেন। তবে নিজেদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান অন্য ধর্মের কারও উপর চাপিয়ে দেয়া ধর্মীয় অধিকার ও অনুভূতিতে হস্তক্ষেপের শামিল,যা সংবিধান পরিপন্থী ও সুস্পষ্ট সংবিধান লঙ্ঘন।
আজ বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কোমলমতি মুসলিম শিক্ষার্থীদের মন্ত্র (হরে কৃষ্ণ হরে রাম,মাতাজি প্রসাদ কি জয়) উচ্চারণ করিয়ে সুক্ষভাবে ঈমান হরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এদেশে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে এমন ঘৃণ্য কর্মকান্ডে জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করে উগ্রবাদী সংগঠন ‘ইসকন’ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন।
ইসকন মূলত তাদের হীনকর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রীতি বিনষ্টে উস্কানি দিচ্ছে। ভারতের মতো এদেশেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ উগ্র সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় উস্কানীসহ নানাভাবে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আমি মনে করি সংগঠনটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি। তাই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসকনকে নিষিদ্ধ করে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। অন্যথায় এ উগ্রগোষ্ঠীর এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।
আল্লামা আহমদ শাহ শফী কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ইসকনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা নাহলে আমাদের ঈমান আকিদা রক্ষা ও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে ইসকনসহ এধরনের উগ্রবাদি সংগঠনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম এ দেশের সর্বস্তরের তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী (ফুড ফর লাইফ) কর্মসূচির আড়ালে গত ১১ জুলাই থেকে নগরীর প্রায় ৩০টি স্কুলের শিক্ষার্থীর মাঝে প্রসাদ বিতরণ করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকন। ইসকন কর্মীদের শেখানো মতে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মন্ত্র পাঠ করে এ প্রসাদ গ্রহণ করে।
-এএ