সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নেত্রকোনায় শিশুর কাটা মাথা পাওয়ার রহস্য খুললেন পুলিশ সুপার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নেত্রকোণায় আট বছরের একটি শিশুকে গলা কেটে শিশু হত্যার সঙ্গে পদ্মাসেতু নিয়ে ছড়ানো গুজবের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বাহিনীটি জানতে পেরেছে, শিশুটিকে বলাৎকার করার পর ঘটনা যেন জানাজানি না হয়, সেজন্য শিশুটিকে খুন করা হয়।

বৃহস্পতিবার শিশুটিকে হত্যার পর মাথাটা ব্যাগে ভরে নিয়ে যাচ্ছিলেন সন্দেহভাজন রবিন। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পদ্মাসেতু নির্মাণে এক লাখ মানুষের মাথা প্রয়োজন বলে যে কথা সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, সেই প্রচারের মধ্যে শিশুর কাটা মাথা পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে শিশুটিকে এবং তার সন্দেহভাজক খুনি রবিনকে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভুঁইয়া। এ সময় তিনি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে তদন্তের বিভিন্ন দিকে নির্দেশনা দেন।

আক্কাস উদ্দিন বলেন, ‘এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি নির্মম হত্যাকান্ড। এর সঙ্গে পদ্মাসেতুতে মাথা দরকার গুজবের কোনো সম্পর্ক নেই।’

শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, ‘পাশবিক নির্যাতনের পর শিশুটিকে রবিন হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর।’

বৃহস্পতিবার শিশুটির কাটা মাথা নিয়ে স্থানীয় হরিজন পল্লীতে মদ খেতে গিয়েছিলেন রবিন। এ সময় তার ব্যাগ থেকে রক্ত পড়ছিল। সন্দেহ হলে সেটি খুলে দেখে স্থানীয়রা। আর উত্তেজিত হয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় রবিনকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রবিনের মোবাইল ফোন জব্দ করে। আর হরিজন পল্লীর তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয় থানায়।

রবিন এবং কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে রাতে মামলা করেন শিশুটির বাবা। আর রবিনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করেন নেত্রকোণা সদর থানার এসআই রফিক।

সন্দেহভাজন খুনি রবিন ও খুন হওয়া শিশুর বাবা একই এলাকার বাসিন্দা। তারা পরস্পরের পূর্বপরিচিত। দুই জনই রিকশা চালক। রবিন মাদকে আসক্ত বলেও জানাচ্ছে পুলিশ।

শহরের কাটলি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির টয়লেটে শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ