সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মুসলিম শিশুদের মাঝে ইসকনের কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণ চরম ধৃষ্টতার শামিল: আল্লামা বাবুনগরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইশতিয়াক সিদ্দিকী
হাটহাজারী প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা মৃত সংঘ তথা ‘ইসকন’ তাদের ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচীর আওতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রা উপলক্ষে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশু-কিশোরদের মাঝে হিন্দুত্ববাদের স্লোগান দিয়ে কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণের কঠোর সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ বুধবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রা অনুষ্ঠানে মুসলিম শিশুদের মাঝে কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণ করে চরম দৃষ্টতা দেখিয়েছে উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন। ‘হরে কৃষ্ণ, হরে রাম’ শ্লোগান দিয়ে এ প্রসাদ বিতরণ করে মুসলিম ধর্মীয় চেতনাবোধেও মারাত্মক আঘাত করেছে। মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদার জায়গা থেকে এসব কুফরী শব্দ মুখে আনতে পারে না।

তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পুণ্যের ভাবনা থেকে তাদের দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাবারের অবশেষ এসব প্রসাদ খেয়ে থাকে। এ প্রসাদ খাওয়া করা মুসলমানদের জন্য হারাম।

হেফাজত মহাসবিচব বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবেন। তবে নিজেদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান অন্য ধর্মের কারো উপর চাপিয়ে দেয়া ধর্মীয় অধিকার ও অনুভূতিতে হস্তক্ষেপের শামিল। এটা সংবিধান পরিপন্থী।

আল্লামা বাবুনগরী আরও বলেন, ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত দেশে অবুঝ মুসলিম শিশু-কিশোরদেরকে এভাবে "হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে, মাতাজি প্রসাদ কি জয়" শ্লোগান দেয়ানো চরম ধৃষ্টতার শামিল। মুসলিম শিশুদের পবিত্র মুখে এসব কুফুরী শব্দ উচ্চারণ করিয়ে কৌশলে ঈমান হরণের অপচেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আজ তারা আমাদের কোমলমতি শিশুদেরকে প্রসাদের লোভে ফেলে ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ বলিয়েছে, কাল ভারতের মতো জোরপূর্বক ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করবে না এর নিশ্চয়তা আছে কি? এদেশে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবী।

মূলত এ সব কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশেও ভারতের মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ইসকন নামের যে সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে, এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইসকন মূলত ইহুদী পরিচালিত একটি সংগঠন। ইসকন নামক এই উগ্র সংগঠনটি ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় উস্কানী সহ নানাভাবে উত্তেজনা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এ সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি তৈরি করছে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইসকনকে নিষিদ্ধ করে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

আল্লামা বাবুনগরী হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকল স্কুল কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট অনুমতিদাতাদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ইসকনের যারা এ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় মুলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষার পাশাপাশি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে এসব উগ্রবাদি সংগঠনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তৌহিদী জনতা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ