আবদুল্লাহ তামিম ♦
এবার ইউক্রেনের সংসদে ইনজেকশনের মাধ্যমে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শিশু ধর্ষণকারীদের যৌন সক্ষমতা নষ্ট করার আইন পাশ হয়েছে।
ইউক্রেনের জাতীয় বার্তা সংস্থার বরাতে মেইল অনলাইন থেকে জানা যায়, ধর্ষণ ও শিশু নিপীড়নকারী হিসেবে প্রমাণিত হলে এ আইনের আওতায় ১৮ থেকে ৬৫ বছরের পুরুষের দণ্ড কার্যকর করা হবে।
২০১৭ সালে ইউক্রেনে ৩২০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। তবে ধারণা করা হয় বাস্তবে শিশুদের যৌন হামলার শিকার হওয়া ঘটনা কয়েক হাজার।দেশটির জাতীয় পুলিশ প্রধান ভিয়াচেস্লাভ আব্রোসকিন বলেন, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় চারটি অঞ্চলে পাঁচ শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
অভিভাবকরা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু সারাদেশে শিশুদের যৌন হামলার শিকার হওয়ার সঠিক সংখ্যা আমরা ধারণা করতে পারি শুধু।
শিশুর বিরুদ্ধে যৌন হামলার বিরুদ্ধে কঠোর আইনটি দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে পাস হয়েছে। র্যাডিকাল পার্টির নেতা ওলেগ লিয়াশকো শাস্তির প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের আইনে শিশুদের যৌন হামলাকারীদের জন্য যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান নেই। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে ধর্ষকরা তার পুরনো রূপে ফিরে যায়।
নতুন এ আইনে ইউক্রেন শিশুর ধর্ষণকারী হিসেবে কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি সরকারি শাখা চালু করা হবে।
কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এ অপরাধীদের নজরদারিতে রাখবে এ শাখাটি। এছাড়া শিশুকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র কাজাখাস্তানেও ধর্ষকদের রাসায়নিকভাবে খোজা করে দেওয়ার শাস্তি প্রচলিত আছে।
-এটি