রকিব মুহাম্মদ পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সামর্থবানরা ছুটছে মক্কার দিকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশ-ভুখন্ড থেকে হাজিদের কাফেলা রওয়ানা হচ্ছে মদিনার নবীর প্রেমের টানে। বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সেতুবন্ধনের এই অনন্য বিধান পালন মুসলিমদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। অন্য যে কোনো ইবাদতের চেয়ে হজের বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা স্বতন্ত্র। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের ওপর হজ পালন করা ফরজ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ পালনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন- ‘হে মানুষ! অতি তাড়াতাড়িই তোমরা তোমাদের প্রভুর সঙ্গে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। অতএব সাবধান! তোমরা আজকের (হজের) দিনের পর পুনরায় পথভ্রষ্ট (গোনাহে লিপ্ত) হয়ো না।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
হজ পালনে যারা বায়তুল্লাহমুখী তাদের উচিত, এখন থেকেই গোনামুক্ত থাকা। বিগত জীবনের গোনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা। জীবনের বাকি সময় আর যেন গোনাহে লিপ্ত না হতে হয়ে সেভাবে জীবন পরিচালনা করা।
হজ পরবর্তী সময়ে গোনাহমুক্ত জীবন-যাপনের জন্যই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে সতর্ক করেছেন। যারা এ সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবে, তাদের কর্মের মধ্যেই ফুটে ওঠবে হজ কবুলের আলামত বা নির্দশন।
আরএম/