আবদুল্লাহ তামিম ♦
ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহাদ্দিস, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রেসিডেন্ট মাওলানা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানি বলেন, মুসলিমদের উপর নির্যাতন দেশের সংবিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা উপর মানুষের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। মুসলিমদের উপর চলমান সহিংসতা ও হত্যার ঘটনায় সুপ্রীম কোর্টের স্পষ্ট আদেশ সত্ত্বেও গণহত্যা, নির্যাতন বন্ধ হয়নি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৪৭ সালের চেয়ে আরও খারাপ ও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। মাওলানা ফজলুর রহমান কাসামির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, আসাম নাগরিকত্ব ও চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়।
১৭ জুলাই ২০১৮এর আদেশে সুপ্রীম কোর্ট পরিষ্কারভাবে বলেছে যে, কেউ নিজের হাতে আইন নিতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য সংসদে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগত ঘটছে। কিন্তু আমরা জানি সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশের পর প্রায় ৫৬ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো এ ধরনের মুসলিম নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ঝাড়খণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যেই হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে।
মওলানা আরশাদ মাদানি আরো বলেন, বাবরি মসজিদের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমরা যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো। কিন্তু ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অধীনে, মুসলমানদের ধর্মীয় ও পারিবারিক বিষয়গুলিতে সরকার বা সংসদে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নেই। কারণ ধর্মীয় স্বাধীনতা আমাদের মৌলিক অধিকার।
তিনি আরো বলেন, ইসলামি শরিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন কোন আইন গ্রহণ করা হবে না এ দেশে।
সূত্র: দ্যা ইনকিলাব হিন্দি নিউজ
-এটি