আওয়ার ইসলাম: চীনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু উইঘুর শিশুদের জোর করে পরিবার থেকে আলাদা করার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির পশ্চিমের জিনজিয়াং প্রদেশে বেশ কিছু মুসলিম পরিবারের সাক্ষাৎকার ও বিভিন্ন নথি পত্রের ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে বিবিসি।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, বন্দিশিবির কিংবা কারাগারে আটক অভিভাবকদের অন্তত ৪শো শিশুর সন্ধান নেই। এদের সবাই সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্য। পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি, ধর্মীয় বিশ্বাস এমনকি নিজস্ব ভাষা থেকেও আলাদা করা হচ্ছে এসব শিশুদের।
উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর চীনা সরকারের দমন পীড়নের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি স্যাটেলাইট ইমেজ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয় অন্তত ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে আটকে রেখেছে চীন। তবে বেইজিং এর দাবি, ধর্মীয় উগ্রপন্থা নিরসনেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এ প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে যে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
-এএ