শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

রেডিও শুনে শুনেই হাফেজ হলেন অন্ধ শিশুটি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ছেলে জন্মান্ধ তাই দুঃখবোধ থেকে  বাচ্চাছেলেকে একটি রেডিও কিনে দেন বাবা মুহাম্মদ তাহির। আর এ রেডিওর মাধ্যমেই পুরো জীবন পালটে যায় পাঁচ বছরের জন্মান্ধ বাচ্চা হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের।

হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের জন্ম মিয়ানমারে। জন্মের পরপরই জেদ্দায় তার বাবার কাছে চলে আসে সে। ছেলে জন্মান্ধ হওয়ায় সময় কাটানোর জন্য একটি রেডিও কিনে দেন বাবা।

মুহাম্মদ তাহির জানান, রেডিও কিনে দিয়ে ২৪ ঘণ্টা কুরআন তেলাওয়াত শোনানো হয় এমন একটি চ্যানেলে ফ্রিকোয়েন্সি সেট করে দেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা এই তেলাওয়াত শুনতে শুনতেই কুরআনে হাফেজে পরিণত হয় শিশু হোসেন মুহাম্মদ তাহির।

তবে বাবা তখনও ছেলের এ কীর্তির কথা জানতেন না। ছেলের পাঁচ বছর বয়সে তাকে নিয়ে জেদ্দা থেকে মদিনায় গমন করেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পর মসজিদে নববিতে যাওয়ার আবদার করে ছেলে।

বাবা মুহাম্মদ তাহির জানান, তখন আমি অনেকটা মজা করেই তাকে বলি যে, যদি তুমি সূরা বাকারার কয়েকটি আয়াত মুখস্ত বলতে পারো তাহলে তোমাকে মসজিদে নববিতে নিয়ে যাবো। ছেলে তৎক্ষণাৎ পুরো সূরা বাকারা মুখস্ত তেলাওয়াত করে শোনায় বাবাকে।

বিষ্মিত বাবা সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেকে নিয়ে কয়েকজন আলেম ও হাফেজের কাছে যান। তারা জানান, তার ছেলের কুরআন পড়া শুদ্ধ আছে।

একইসাথে তারা সবাই হোসেন মুহাম্মদ তাহিরকে কোরআন মুখস্থ করার কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। তার কিছুদিন পরেই বাচ্চাটি কুরআনে হাফেজ হয়।

বাবা মুহাম্মদ তাহির বলেন, আমি ছেলের অন্ধত্ব নিয়ে কষ্টে ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার কষ্টের কথা ভুলে গিয়েছি। আমার কোনো কষ্ট নেই। এখন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে গর্বিত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ