আওয়ার ইসলাম: আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়লো লক্ষাধিক নাম। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল তাতে তাদের নাম তালিকাভুক্ত হলেও নতুন খসড়ায় বাদ পড়েছে। তাদেরকে পুনরায় নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর।
আসামের এনআরসির সমন্বয়ক প্রতীক হেজেল বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইন-২০০৩’ এর ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী আজ (বুধবার) এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১ লাখ ২ হাজার ৪৬২ জনের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ নাগরিক পঞ্জিভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এদের মধ্যে ২ কোটি ৮৯ লাখের নাম ৩০ জুলাইয়ের চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ৪০ লাখের নাম বাদ পড়েছিল তালিকা থেকে। এদের মধ্যে ফের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেন ৩৬ লাখ মানুষ। শীর্ষ আদালত এই বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
‘ঘোষিত ভিনদেশি’ অথবা ‘সন্দেহজনক নির্বাচক’ তকমা পেয়ে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অনেকেই। নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারা মানুষের জন্য আসামে ১৯৯৭ সালে ‘ডি ভোটার’ তালিকা চালু হয়েছিল।
তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে কেন তাদের তালিকাভুক্ত করা হল না তার কারণ ব্যাখ্যা করে দেওয়া হবে, চাইলে সেসব ব্যক্তি তালিকাভুক্তির দাবি জানাতে পারেন। তাদের ক্ষেত্রে ডিজপোজিং অফিসারের শুনানিও বাধ্যতামূলক। ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে স্থানীয় রেজিস্ট্রারের তালিকা যাচাই করার অধিকার বৈধ।
আরএম/