আওয়ার ইসলাম: ১. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন আমার সবচেয়ে বেশি আফসোস এমন দিনের জন্য, যে দিনের সূর্য ডুবে গেল, আমার দুনিয়ার হায়াত কমে গেল; অথচ সেদিনে আমার নেক আমল বৃদ্ধি পেল না।
২. হাসান বসরী রহ. বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি তো কতক দিনের সমষ্টি মাত্র, যখন একটি দিন অতিবাহিত হল তোমার জীবনের একাংশ হারিয়ে গেল।
৩. খলিল ইবনে আহমদ আল-ফারাহিদি (১০০-১৭০ হি.) বলতেন, আমার কাছে সবচে অসহনীয় হল খাওযার সময়। কারণ, এ সময় জ্ঞানচর্চা ও গবেষণা থেকে বিরত থাকতে হয়।
৪. ইমাম আবু ইউসুফ (১১৩-১৮২হি.) ২৯ বছর ইমাম আবু হানিফা রহ. এর সাহচর্যে থাকেন। দীর্ঘ এ সময়ে কখনো তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করেন নি। একবার ইমাম আবু ইউসুফের এক সন্তান ইন্তেকাল করল। সন্তানের দাফন-কাফনের দায়িত্ব আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের ওপর ন্যস্ত করে আবু হানিফার দরসে চলে যান।
কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, যদি উস্তাদের একটি দরস ছুটে যায় সারাজীবন এই অনুতাপ আমার শেষ হবে না।
৫. উবাইদ ইবনে ইয়াঈশের মৃত্যু হয় ২২৯ হিজরি সনে। ইমাম বুখারি ও মুসলিমের উস্তাদ। তিনি বলেন : একাধারে ত্রিশ বছর যাবৎ নিজ হাতে রাতের খাবার কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়নি। এ সময় আমি হাদীস লিখে যেতাম আর আমার বোন আমার মুখে খাবার তুলে দিতেন।
৬. ফুযায়ল ইবনে ইয়ায বলেন : আমি তো এমন ব্যক্তি সম্পর্কেও জানি, যিনি সময়ের অপচয় রোধ করার জন্য এক জুমুআ থেকে পরের জুমুআ পর্যন্ত নিজের কথাগুলো লিখে রাখতেন।
৭. দাউদ আত্তায়ী রহ. সময় বাঁচাতে ছাতু গুলিয়ে পান করতেন। নিজেই এর কারণ বর্ণনা করে বলেন : ছাতু গিলে খাওয়া আর রুটি চিবিয়ে খাওয়ার মধ্যে যে সময়ের ব্যবধান সেসময়ে প্রায় পঞ্চাশ আয়াত তেলাওয়াত করা যায়।
৮. ইবনুল জাওযী রহ. যেসকল কলম দিয়ে শুধু হাদিস লিখতেন সেগুলোর চাঁছা, কাটামাথা জমিয়ে রাখতেন। মৃত্যুর পূর্বে অছিয়ত করে গেছেন, তার শেষ গোসলের পানি এগুলি দিয়ে যেন গরম করা হয়। ঠিক তাই করা হলো।
৯. ইমাম তাইমিয়া (৫৫০-৬৫৩ হি.) সম্পর্কে ইবনুল কাইয়িম বলেন : ইবনে তাইমিয়ার পৌত্র বলেন, আমার দাদা যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যেতেন আমাকে বলতেন, এই কিতাবটি এতটা জোরে পড় যেন আমি শুনতে পাই। এতে আমার সময়টুকু অনর্থক কাটবে না।
১০. ইমাম নববী রহ. বলেন : আমি প্রায় দুবছর এভাবে কাটিয়েছি যে, বিছানায় আমার পিঠ স্পর্শ করে নি।
-এটি