আওয়ার ইসলাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) প্রকাশনা কর্মকর্তা পদে পরীক্ষায় পাস করেও নিয়োগ পাননি রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্র নাসির উদ্দিন শেখ। নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) সামীম মোহাম্মদ আফজালের ভাতিজা রেযোয়ানুল আলম।
পাস করেও চাকরি না পেয়ে দুই বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন নাসির উদ্দিন। ততদিনে চাকরি স্থায়ী হয়ে গেছে ডিজির বড় ভাই শফিকুল আলমের ছেলে রেযোয়ানুলের।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদন করে নাসির বঞ্চিত হলেও ইফার সাবেক পরিচালক হারুনুর রশিদের ছেলে নাজমুস সাকিব সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ পেয়েছেন। হারুনুর রশিদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া বলে অভিযোগ রয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। দুদক এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। মহাপরিচালককে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ইফা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাপরিচালকের চার ভাতিজা ও চার ভাগনি-ভাগনেসহ আটজন ইসলামিক ফাউন্ডেশনে প্রথম শ্রেণির পদে চাকরি পেয়েছেন। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের মধ্যে আরও ২৯ জনকে বিভিন্ন পদে চাকরি পেয়েছেন ইফায়। এসব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
নাসিরকে এখন প্রতিকার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে। তবে হাল ছাড়েননি নাসির উদ্দিন। তথ্য অধিকার আইনে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার তথ্য চেয়ে একের পর এক আবেদন করে চলেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন তথ্য না দেয়ায় তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান সাবেক জেলা জজ সামীম আফজাল। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরিচালকদের সভায় তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়।
-এএ