ইশতিয়াক সিদ্দিকী
হাটহাজারী প্রতিনিধি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, পৰ্দা ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান, ইসলামের ফরজ বিধান হিজাব (পৰ্দা) কে কেবল সৌদি সংস্কৃতি বলে কটাক্ষ করে ধৰ্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন রাশেদ খান মেনন।
গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হিজাব সৌদির সংস্কৃতি, বাংলাদেশের সংস্কৃতি নয়, মেননের দেয়া এমন বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া প্ৰতিবাদ জানিয়ে আজ (১৯ জুন) বুধবার সংবাদ মাধ্যমে প্ৰেরিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন তিনি।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হিজাব (পৰ্দা) কোন সৌদির সংস্কৃতি নয় বরং ইসলামী সংস্কৃতি, পবিত্ৰ কুরআন শরীফের ৭ টি আয়াত এবং রাসুল সা. ৭০ টির মত হাদীস দ্বারা প্ৰমাণিত ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান।
ইসলাম সম্পৰ্কে মেননের জানা উচিত, আল্লাহ তায়ালার নিকট একমাত্ৰ মনোনিত ধৰ্ম ইসলাম, আর সেই ধর্ম হলো বিশ্বধৰ্ম, কোন আঞ্চলিক ধৰ্ম নয়, সমস্ত মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাস, রাসুল সা. এর আনিত শরীয়তের বিধি বিধান কেবল সৌদি আরব বা বিশেষ কোন দেশের জন্য নিৰ্দিষ্ট নয় বরং ইসলামের প্ৰত্যেকটা বিধান বিশ্ববাসীর জন্য, কারণ রাসুল সা. কোন আঞ্চলিক নবী নন, তিনি হলেন বিশ্ব নবী। সুতরাং হিজাবের বিধান বাংলাদেশ সৌদি আরবসহ পুরো বিশ্বে চলবে।
আল্লামা বাবুনগরী আরও বলেন, হিজাব বিশ্বধৰ্ম ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান, হিজাব হলো নারী জাতি সুরক্ষিত থাকার অন্যতম মাধ্যম, এ ফরজ বিধানকে সৌদি সংস্কৃতি বলে কটাক্ষকারী ইসলাম ও মুসলমানদের চরম দুশমন, কোন ঈমানদার হিজাবকে সৌদি সংস্কৃতি বলে কটাক্ষ করে ধৰ্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে না, কারন হিজাবের বিধান সৌদি কোন সংস্কৃতি নয় বরং ইসলামী সমস্কৃতি, কোন ফরজ বিধানকে কটাক্ষকারী মুসলমান থাকতে পারে না।
শরয়ী হিজাব নারীর ভূষণ ও ইজ্জত আবরু রক্ষার অন্যতম মাধ্যম উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ফরজ বিধান হিজাবের বিরোধীতা করে ওরা মূলত নারী সমাজকে বেপৰ্দায় চালিয়ে শান্তির পরিবেশ বিনষ্ট করে সমাজকে বিশৃঙ্খল করতে চায়। নারীরা বেপৰ্দায় চললে সমাজে ইভটিজিং,ধৰ্ষণ ও নারী নিৰ্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হবে যার প্ৰমাণ বৰ্তমানে ভুরিভুরি দেখা যাচ্ছে।
হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, বাংলাদেশর মানুষ ধৰ্মপ্ৰাণ ও ইসলাম প্ৰিয়, ইসলামের কোন বিধান নিয়ে প্ৰত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করলে তা এ দেশের কোটি কোটি মুসলমান মেনে নেবে না, প্ৰয়োজনে এর বিরুদ্ধে দূৰ্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
তাই অনতিবিলম্বে শরয়ী হিজাবকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি নয়; সৌদি সংস্কৃতি বলে কটাক্ষ করে মেননের দেয়া বক্তব্য প্ৰত্যাহার করে প্ৰকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, নইলে তার এ বিতৰ্কিত ও আপত্তিকর বক্তব্য তৌহিদী জনতার ক্ষোভের কারণ হতে পারে।
-এএ