আওয়ার ইসলাম: জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্যমতে, গত ১৫ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৭৩ নাগরিক ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে ঢুকেছে। যাদের ৭৪ জন ইতোমধ্যে দেশ থেকে চলে গেছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৩জন এটিএম বুথ জালিয়াতির সাথে জড়িত। আত্মগোপনে থাকা ইউক্রেনের আরেক নাগরিককে খুঁজছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার ঘটনায় গ্রেফতার ইউক্রেনের ৬ নাগরিক হচ্ছে, দেনিস ভিতোমস্কি, নাজারি ভজনোক, ভালেনতিন সোকোলোভস্কি, সের্গেই উইক্রাইনেত্স, শেভচুক আলেগ ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি। এরা ২য় দফায় পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান বলেন, এ চক্রটি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৯টি এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা চুরি করে। তবে তারা টুপকিন ম্যালওয়ার ব্যবহার করেছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে প্রাথমিক তথ্যে নিশ্চিত হয়েছি, এটিএম বুথ কম্প্রোমাইজ করেই তারা টাকা উত্তোলন করেছেন। এ সংক্রান্ত ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে আসা শুরু হয়েছে। এছাড়া বিশেষ কায়দায় বুথ হ্যাক করে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে প্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষ কর্মকর্তারাও মত দিয়েছেন।
এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ৬ ইউক্রেন নাগরিক গত ৩০ মে ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। তাদের সঙ্গে আরও ৩ ইউক্রেন নাগরিক দেশে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে খিলগাঁও এলাকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি বুথ থেকে ইউক্রেনের দুই নাগরিক তিন লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরদিন একই বুথ থেকে তারা টাকা হাতিয়ে নিতে ঢোকে। তারা মুখে মাস্ক দিয়ে ও মাথায় ক্যাপ দিয়ে বুথে ঢোকে। তবে বুথে ঢুকে বেশি সময় নেয়ায় নিরাপত্তারক্ষীর সন্দেহ হলে তিনি আশপাশের লোকজনের সহযোগিতা চান।
বিষয়টি টের পেয়ে দুই বিদেশি নাগরিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেনে অভিযান চালিয়ে আরো পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
-এএ