সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার বলছে বাংলাদেশের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এক পায়ে খাড়া।

বুধবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। তারা আমাদের বন্ধু। তাদের নিয়েই নিয়মের মধ্যে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া দরকার। কিন্তু এ রকম ডাহা মিথ্যা আমরা কেমন করে কতো হজম করতে পারি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা ফিরে যাক, এটাই আমরা চেয়েছি। বরং মিয়ানমার বারবার কথা দিয়েও কথা রাখছে না। আমরা তাদের সঙ্গে অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছি। গত বছরের জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ছিল। দুই বছরের মধ্যে এটা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হয়নি।

তারপরে বলা হলো, ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রক্রিয়া শুরু করবে। সেটাও হয়নি। কিছুদিন আগে মিয়ানমারে চতুর্থ যৌথ সম্মেলনে গেলাম, তখন আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম। বোধ হয় প্রক্রিয়াটা শুরু হলো। কিন্তু সেটাও হয়নি।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে কূটনীতিকদের সহায়তা চান তিনি।

ব্রিফিংয়ে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, ভারত, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রাজিল, ফিলিস্তিন প্রভৃতি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে দেশটি থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশে অবস্থান নেয় আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গা। মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দেয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ