মুফতি সুহাইল আবদুল কাইয়ূম
রমজান মাসে শরয়ী উজরের কারণে কিংবা অকারণে রোজা না রাখলে পরবর্তীতে তার কাজা করতে হয়। একটি রোজার জন্য একটি রোজাই কাজা করতে হয়। বিনা উজরে রোজা ছেড়ে দেয়া মারাত্মক গুনাহ। উজর বশত রোজা রাখতে না পারলে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি আছে। পরে কাজা করতে হবে। কাফফারা লাগবে না। আর রোজা রেখে ইচ্ছাকৃত ভেঙ্গে ফেললে কাজা ও কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে। এখানে কাজা করার পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু মাসআলা লিখা হলো।
১. কাজা রোজা একাধিক হলে লাগাতার রাখা জরুরি নয়। যখন যেভাবে ইচ্ছা রাখা যাবে। তবে যত দ্রুত সম্ভব আদায় করা উচিত।
-রদ্দুল মুহতার : ২/৪২৩।
২. কাজা রোজার ক্ষেত্রে দিন তারিখ নির্ধারণ করে নিয়্ত করা জরুরি নয়। বরং যে কয়টি রোজা কাজা হয়েছে কাজার নিয়তে সেই কয়টি রোজা রাখলেই চলবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৬।
৩. যদি দুই রমজানের কিছু কিছু রোজা কাজা হয় তাহলে কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে বছর নির্ধারণ করা জরুরি। অর্থাৎ এভাবে নিয়্ত করবে যে, আমি অমুক বছরের কাজা রোজা আদায় করছি। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৬।
৪. এক রমজান মাসের কাজা রোজা আদায় করতে না করতে অন্য রমজান মাস চলে আসলে প্রথমে উপস্থিত রমজানের রোজা আদায় করবে, রমজানের পর পেছনের রোজার কাজা আদায় করবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/২০৮।
৫. কাজা রোজার নিয়্ত সূর্যাস্তের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্বে করা জরুরি। সুবহে সাদিকের পর নিয়্ত করলে তা যথেষ্ট হবে না। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/২০
লেখক, নায়েবে মুফতি, ইসলামিক ফিকাহ একাডেমী ঢাকা
এমডব্লিউ/