আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি মুসলামন রাষ্ট্রগুলোর আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসির সমর্থন চেয়েছেন। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি তার আবেদন তারা যেন বিষয়টি নিয়ে ভাবেন। স্বেচ্ছা তহবিল ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে যেন রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত হয় সেজন্যও সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
শনিবার সৌদি আরবের সাফা প্রাসাদে ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে এ সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী। খবর ইউএনবির।
গত মার্চে আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের (সিএফএম) সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের বিচার সম্পর্কিত ইস্যুটি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি নিয়ে আসার জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। স্বেচ্ছায় তহবিল এবং কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে মামলাটি চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কাছে আবেদন করছি।’
সৌদি আরব মক্কায় ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এবারের সম্মেলনের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘মক্কা সামিট: টুগেদার ফর দ্য ফিউচার’। (মক্কা সম্মেলন: ভবিষতের জন্য ঐক্য)।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের নিধনে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়া আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান নেয় চার লাখের মতো রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখের মতো। মানবিক দিক বিবেচনায় এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।
দারিদ্র্যকে এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি মোকাবিলার জন্য যৌথ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘ওআইসি-২০১৫: কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শনিবার মক্কায় ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি পবিত্র ওমরা পালন ও রবিবার মহানবি হযরত মুহাম্মদ সা. এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। এরপর শেখ হাসিনা ৩ জুন ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে সৌদি আরব ত্যাগ করবেন ও সেখানে ৭ জুন পর্যন্ত থাকবেন। ৮ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে বাংলাদেশ সরকার প্রধানের।
এমডব্লিউ/