মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
বার্তা সম্পাদক
রমজান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য বিশেষ নিয়ামত। বোনাস হিসেবে আল্লাহ তায়ালা এ মাস আমাদের দিয়েছেন। এ মাসের নফল ইবাদত ফরজের সাওয়াব দান করেন আল্লাহ তায়ালা।
হাদিসে রমজান মাসে যেসব আমলের তাগিদ পাওয়া যায় ওমরাহ তার অন্যতম। রাসুলে আকরাম সা. বলেছেন, রমজানে ওমরাহ করলে আমার সঙ্গে হজ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওমরাহ করা উচিত।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘রমজান মাসে ওমরাহ করা আমার কাছে হজ আদায় করার সমতুল্য।’ (বুখারি-১৮৬৩)
হজের সামর্থ্য না থাকলে ওমরা করা যায়। আর ওমরাতে যদি হজ আদায়ের সাওয়াব হয় তাহলে তো কত উত্তম জাযা আল্লাহ আমাদের দিয়েছে।
রমজানে ওমরা আদায়ের ব্যপারে আরেকটি হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. এক আনসারি মহিলাকে বললেন, ‘তুমি কেন আমাদের সঙ্গে হজ করতে যাওনি?’ তিনি বললেন, ‘আমাদের পানি বহনকারী দুটি মাত্র উট রয়েছে।
একটিতে আমার ছেলের বাবা (স্বামী) ও ছেলে হজ করতে গিয়েছেন, অন্যটি পানি বহনের জন্য আমাদের কাছে রেখে গিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, “রমজান এলে তুমি ওমরাহ করবে। কেননা, এ মাসের ওমরাহ একটি হজের তুল্য।”’
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘রমজানে ওমরাহ একটি হজের তুল্য।’ (বোখারি-১৭৮২, মুসলিম- ১২৫৬, মুসনাদে আহমাদ-২০২৫)।
সৌদি আরবে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা মক্কা-মদিনার পবিত্র ভূমিকে আল্লাহ তার নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগ্রামের স্মৃতি বহন করছে এই ভূমি। মক্কা-মদিনা জিয়ারত করলে মানুষের ঈমান জাগ্রত হয়। ভালো কাজের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার সাহস পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, মক্কা মদিনা যিয়ারতের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে রাসুল সা. এর প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। এ রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা দরকার, আল্লাহ তায়ালা যেনো আমাদের হজ ওমরা করার তাওফিক দান করেন। যারা গিয়েছে তাদের বাববার যাওয়ার তাওফিক দান করেন। আর যারা একবারও যেতে পারেনি, তাদের যাওয়ারও যেনো ব্যবস্থা করে দেন আল্লাহ তায়ালা।
আর আমরা দোয়া করবো আল্লাহ তায়ালা যেনো কাফনের কাপড় পরিধানের আগে একবার হলেও এহরামের কাপড় পরিধানের তাওফিক দান করেন।
-এটি