আওয়ার ইসলাম: দেশের অন্যতম অনলাইন নিউজপোর্টাল আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম- এর উদ্যোগে আয়োজিত লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্সের আজ ১১তম দিন।
আজ (১৭ মে) আওয়ার ইসলাম অডিটোয়িরামে সাংবাদিকতা কোর্সে ‘হাতে-কলমে প্রুফ ও সম্পাদনা’ বিষয়ে ক্লাস করিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক কবি মুনীরুল ইসলাম।
লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্সটির তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশের লেখালেখির সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ‘বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম’। আর সহযোগিতায় আছে অনলাইন ই-কমার্স বুকশপ রকমারি ডটকম।
কোর্সটি গত ১ম রমজান শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত। কোর্সে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
আওয়ার ইসলামের অনলাইন পাঠকদের জন্য আজকের ক্লাসের সারসংক্ষেপ দেয়া হলো, কম্পোজ করার পর কোনো লেখা প্রিন্ট হলে যে পাতা দাড়ায় তাকে বলে প্রুফকপি। প্রুফ দেখাকে বলে প্রুফ রিডিং। আর যিনি প্রুফ দেখেন তাকে বলে প্রুফ রিডার বা সম্পাদনা সহকারী।প্রুফ রিডারের উপকারিতা হলো, কোনো লেখক যদি প্রুফ রিডিং করতে জানে, তাহলে সে লেখালেখির ক্ষেত্রে অর্ধেক পথ এগিয়ে গেলো।
প্রুফ রিডারের গুণাবলী
একজন প্রুফ রিডারের জন্য কিছু গুণাবলী থাকা আবশ্যক। যথা -
১. শুদ্ধ বানান জানতে হবে।
২. ভাষা জ্ঞান থাকতে হবে।
৩. সাংকেতিক চিহ্নের জ্ঞান থাকতে হবে।
৪ ধৈর্যশীল ও মনোযোগী হতে হবে।
৫. ভুল ধরার মন নিয়ে প্রুফ দেখতে হবে।
৬. দাড়ি, কমার ভুলও ঠিক থাকতে হবে।
৭. অভিধান সঙ্গে রাখতে হবে।
৮. মুল কপি সঙ্গে রাখতে হবে।
৯. কালো কালির সব বিষয় তার চোখের সামনে থাকতে হবে।
১০. রঙিন কলম দিয়ে প্রুফ কাটতে হবে। আর সাংকেতিক চিহ্ন কম্পিউটার অপারেটরের জন্যও জানা থাকতে হবে ।
বইয়ের প্রুফ দেখার ক্ষেত্রে নিজের বইয়ের প্রুফ নিজেই দেখা ভালো। এতে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। কারণ ভাষাটা হলো গতিশীল। প্রতিনিয়ত ভাষা নির্মিত হয়। মানুষের জানার পরিধি প্রতিদিনই বাড়ে। একজন লেখক তার লেখাটি লেখার একমাস পরে দেখলে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হবে।
সাংকেতিক চিহ্নসমূহ
কম্পোজকপির বিভিন্ন সমস্যা থাকে। কখনো ডিলিট করতে হয়। কখনো নতুনভাবে সংযুক্ত করতে হয়। আরো নানান সমস্যা দেখা দেয়। নিম্মে এসব সমস্যা ও তার সমাধান তলে ধরা হচ্ছে।
১. যদি অতিরিক্ত কোন অক্ষর বা কোনো দাগ থাকে তাহলে তা ডিলিট করার ক্ষেত্রে ঐ অতিরিক্ত চিহ্নটিতে বাকা দাগ দিয়ে ইংরেজি d লিখতে হবে।
২. একলাইনে কয়েকটি এরকম পাওয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমটি প্রথমে লিখতে হবে।
৩. বাক্যে দুই শব্দ একসাথে হয়ে গেলে ফাক করার জন্য হ্যাশ (#) চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। আবার ফাঁক হয়ে গেলে একসাথে করার জন্য সংযোগ চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
৪. শব্দের অক্ষর ভুল হলে ঐ শব্দের মাঝে কাটা দিয়ে শব্দের ডানে বা বামে শুদ্ধ অক্ষর লিখতে হবে।
৫. যদি একসাথে দুটি ভুল হয় তাহলে দুটি বাকা চিহ্নের মতো দুটি দাগ দিয়ে ঠিক করতে হবে।
৬. কোনো শব্দ আলাদা হয়ে গেলে একসাথে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে এরকম (<>) দাগ দিয়ে এই ~ চিহ্নটি ব্যবহার করতে হবে।
৭. কোনো বাক্যে প্যারা দিতে চাইলে তার শুরুতে তিন ভাঙ্গা দাগ দিয়ে NP (new pera) লিখবেন।
৮. শব্দ আগে পরে আনতে চাইলে শব্দটি মার্ক করে শুরুতে আনতে হবে।
৯. যদি শব্দে সাব হেডিং দিতে চান তাহলে মার্ক করে লিখবেন B (boold)।
১০. আর যদি নতুন শিরোনাম দিতে চান তাহলে শিরোনামটি কলম দ্বারা লিখে মার্ক করে B (boold) লিখে লিখবেন 16 p. (point)
১১. যদি কোনো বিশেষ লেখা বাকা করতে হয় (বিশেষভাবে আলাদা করার জন্য) তাহলে মার্ক করে লিখবেন ইটালিক।
১২. যদি টাইপ করার সময় বাক্যের মাঝে কোনো লেখা বাদ পড়ে যায় তাহলে যেখান থেকে বাদ পড়েছে সেখানে দাগ দিয়ে লিখুন see copy. (মূল কপি দেখুন) এবং মূল কপিতে মার্ক করে লিখবেন "ছাড়"।
১৩. যদি কোনো শব্দে উর্ধ্ব কমা দিতে হয় তাহলে দাগ দিয়ে পাশে কমা দিতে হবে। তবে ভালো করে দেখানোর জন্য কমার নীচে একটু দাগ দিয়ে চিহ্নিত করলে ভালো হয় ।
১৪. উর্ধ্ব কমার মতো রেফ ও চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার করতে হবে । অথবা পুরোটা কেটে নতুন করে লিখতে হবে।
১৫. যদি কোথাও হাইফেন দিতে হয় তাহলে শব্দে দাগ দিয়ে হাইফেন দিবেন।
১৬. যদি কোথাও ড্যাস ব্যবহার করতে হয় তাহলে দু পাশে দাগ দিয়ে ড্যাস চিহ্ন দিবেন।
সারসংক্ষেপ অনুলিখন- মোস্তফা ওয়াদুদ