মুফতি মোস্তফা ওয়াদুদ কাসেমী : পঞ্চগড়ের মেয়ে লাবিবা তাসনিম। সবে নতুন দুহিতা হয়ে ঢাকায় এসেছেন। স্বামীর সাথে নতুন সংসার গড়ায় মন দিয়েছেন। সব সময় ঘরেই থাকেন। ওর স্বামীর নাম ইউসুফ। তিনি কাজ করেন বাসা থেকে অনেক দূরে। তাই যোগাযোগের জন্য ঘরে একটি মোবাইল ফোন রাখা হয়েছে।
বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগটা মোবাইলে সেরে নেন লাবিবা। ইউসুফ কাজে চলে গেলে লাবিবা ঘরে বসে পবিত্র কুরআন শরিফ তেলাওয়াত করে। বই পড়ে।
গত কয়দিন থেকে ওকে ফলো করছে বাড়ির মালিকের ছেলে অনন্ত। ও কাজে বেকাজে ঘরের পাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি করে। টার্গেট ভিন্ন কিছু। কোনোভাবে যদি মোবাইল নাম্বারটা পাওয়া যায় তাহলেই হলো।
আজ লাবিবার বাড়িতে আসিফ নামের একজন মেহমান এসেছেন। ইউসুফের পরিচিত আত্মীয় তিনি। অনন্ত এটাকেই সুযোগ মনে করে।ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে আসিফকে লাবিবার নাম্বার চাইতে বলে।
লাবিবা সরল মনে নাম্বার দিয়ে দেয়। এরপর চুক্তিমতে আসিফ লাবিবাকে না জানিয়ে অনন্তকে নাম্বারটি দিয়ে দেয়। আর এরপর থেকেই অনন্ত ছেলেটি লাবিবাকে বিরক্ত করতে থাকে।
এই যে আসিফ অনন্তকে নাম্বার দিলো এটা কি ঠিক?একজনকে না জানিয়ে তার নাম্বার অপরকে দেয়া কি বৈধ? শরীয়ত এ ব্যাপারে কী বলে? জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ি মাদরাসার ফতোয়া বিভাগে জানতে চেয়েছেন জনৈক ব্যক্তি।
ফতোয়া বিভাগ থেকে লিখিত জবাবে বলা হয় মাত্র দুটি শর্তে না বলে নাম্বার দেয়ার সুযোগ আছে। শর্ত দুটি হলো- ১. সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দুনিয়া ও আখেরাতের ক্ষতির আশঙ্কা না থাকা।, ২. সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা না থাকা।
এছাড়া অনুমতিবিহীন একজনের নাম্বার অন্যজনকে প্রদান করা জায়েজ নেই। তবে জনকল্যানার্থে একজনের নাম্বার অন্যজনকে দেয়া বৈধ। যেমন কোনো অপরাধীর নাম্বার গোপনে প্রশাসনকে জানানো।
আরএম/