আওয়ার ইসলাম: রমজানে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে আপনার একটু অসচেতনতার ফলে সৃষ্ট হতে পারে ভয়াবহ ট্রাফিক যানজট। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের আগে ঘরে ফেরার তাগিদ আমাদের সবারই থাকে। পরিবারের সাথে ইফতার করতে কে না চায়। রোজাদারদের ইফতারের আগে নিজ ঘরে ফেরানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ রমজান মাসে যানজট এড়াতে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
যানজট এড়াতে নির্দেশনাগুলো হলো:
১। ইফতারের আগে বাড়ি ফিরতে হবে এমন মনোভাব নিয়ে উল্টো পথে গাড়ি চালানো হতে বিরত থাকুন।
২। ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালান, সিগন্যাল অমান্য করে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে সৃষ্টি হবে অসহনীয় যানজট।
৩। কোন অবস্থায় আপনি যানজটের কারণ হবেন না এটা মনে রেখে গাড়ি চালাবেন।
৪। রমজানে সারাদিন রোজা রেখে সকলেই ক্লান্ত থাকে, সেক্ষেত্রে অযথা গাড়ির হর্ণ বাজাবেন না। হাইড্রলিক হর্ণ ও অননুমোদিত হর্ণ ব্যবহার পরিহার করুন। এটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
৫। তাড়াহুড়া করে গাড়ি না চালিয়ে নিয়ম মেনে নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালান।
৬। রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে রাস্তা সংকীর্ণ করে গাড়ি চলাচলের স্বাভাবিক গতি রোধ করে যানজট সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন।
৭। মার্কেট ও শপিংমলের সামনে গাড়ি পার্কিং করা থেকে বিরত থাকুন।
৮। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। এতে করে রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হয়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৯। নির্ধারিত স্থান ব্যতীত রাস্তায় যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করবেন না।
১০। সরকারি সিদ্ধান্ত ও মোটরযান আইন মেনে গাড়ি চালান।
১১। গাড়ির চালকেরা আরো বেশি যাত্রীর আশায় রাস্তায় অযথা গাড়ি দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি করবেন না।
১২। রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করুন। যত্রতত্র রাস্তা পারাপারে গাড়ি চলার স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্থ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীর জীবনের হুমকিও রয়েছে।
১৩। ভিআইপি ও অতি ব্যস্ত সড়কে রিকসা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ির মত স্বল্প গতির বাহন চালানো হতে বিরত থাকুন।
১৪। রাস্তা ও ফুটপাতে কেউ দোকানপাট বসাবেন না এবং বসাতে নিরুৎসাহিত করুন।
-এএ