মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
সেহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। রোজা পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদিসে এসেছে, «السُّحُورُ أَكْلَةٌ بَرَكَةٌ فَلاَ تَدَعُوهُ ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جَرْعَةً مِنْ مَاءٍ ، فَإِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ» ‘সেহরি হল বরকতময় খাবার। তাই কখনো সেহরি খাওয়া বাদ দিয়ো না।
এক ঢোক পানি পান করে হলেও সেহরি খেয়ে নাও। কেননা সেহরির খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন (মুসনাদ আহমাদ:১১১০১)
সাহরি আরবি শব্দ যা ‘সাহর’ শব্দ থেকে উদ্ভুত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ, শেষ তৃতীয়াংশ বা ভোর রাত। পরিভাষায় রোজা পালনার্থে মুমিন বান্দা শেষ রাতে ফজরের পূর্বে যে খাবার গ্রহণ করে থাকেন, তাকে সাহরি বলা হয়।
রোজা রাখার নিমিত্তে এ খাবার গ্রহণ করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ সা. সদা-সর্বদা রোজার উদ্দেশ্যে সাহরি খেয়েছেন এবং তাঁর প্রিয় উম্মতকে তা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন। হাদিসে রয়েছে, নবি সা. বলেন, ‘আমাদের ও ইহুদী-নাসারাদের রোজার পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া।’ (মুসলিম:২৬০৪)
সাহরি যথাসম্ভব দেরী করে খাওয়া অর্থাৎ- সুবহে সাদেকের কাছাকাছি সময়ে খাওয়া মুস্তাহাব। তবে এতো দেরী করে সাহরী খাওয়া মাকরূহ যাতে সুবহে সাদেক হয়ে যাওয়া আশংকা হয়। (ফাতওয়াযে আলমগীরী)
-এটি