রকিব মুহাম্মদ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে অপরাধের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এসব প্লাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে অনেক অপরাধী। তাই এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত নতুন নিয়ম এবং নীতিমালাগত দিক থেকে বিভিন্ন পরিবর্তন আনছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস নিম্নকক্ষের চেয়ারপার্সন দেশের নিরাপত্তা স্বার্থে গুগল, ফেসবুক, টুইটার এবং মাইক্রোসফটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি কন্টেন্ট পর্যালোচনায় বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্য গুলোতে বিভিন্ন কন্টেন্ট খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। সহিংসতা, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের ঘৃণিত কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত করছে এমন কন্টেন্ট পর্যালোচনায় বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইসলামিক চ্যানেল ও ইসলামি কন্টেট খতিয়ে দেখছে গুগল।
সম্প্রতি গুগলের এক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইউটিউবে জঙ্গিবাদের ভিডিও অবাধে প্রকাশ পাচ্ছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল গুগল একটি খোলা চিঠিতে জানায়, ম্যানুয়াল রিভিউতে তারা ৯০ হাজার ভিডিও পেয়েছে যেগুলো ইউটিউবের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। সেসব ভিডিওগুলোর বিষয়বস্তু ছিল সহিংসতা এবং উগ্রবাদ ছড়ানো।
সার্চ ইঞ্জিন গুগল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস নিম্নকক্ষকে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয় কনটেন্ট পর্যালোচনার জন্য। আর গুগলের নিজস্ব এক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯-এ প্রথমদিকে ১০ মিলিয়ন জঙ্গিবাদের ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে গুগল জানায়, প্রতিনিয়ত ১০ হাজার মানুষ কাজ করছে এসব ক্ষতিকর কনটেন্ট পর্যালোচনা করছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইম।
আরএম/