আওয়ার ইসলাম: কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকায় পৃথক দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচ ব্যক্তির নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়। পুলিশ বলছে, তারা মাদক পাচারকারী। আর সকালে সুন্দরবনে নিহত তিনজনকে দস্যু দাবি করেছে র্যাব।
নিহতরা হলেন- নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাঁচা মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আলম ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আলী হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ রফিক। পুলিশ বলছে, তারা মাদক পাচারকারী। ঘটনাস্থলে দু’টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ৭ রাউন্ড গুলি ও ২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড জাদিমুরা এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। উপস্থিতি টের এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করে মাদক কারবারীরা। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা দিলেও সোমবার সকালে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ‘দস্যুর’ নিহতের কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব খুলনা-৬ এর অপারেশন কর্মকর্তা মেজর শামীম সরকারের ভাষ্য, একদল দস্যু সুন্দরবনে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে রবিবার রাতে র্যাব সদস্যরা সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে সুন্দরবনের চরাপুটিয়া এলাকার খোন্তা কোদালিয়া খালে পৌঁছালে একটি নৌকার মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়জনকে দেখতে পাওয়া যায়। তাদের চ্যালেঞ্জ করলে দস্যুরা নৌকা থেকে উঠে দৌড়ে বনের মধ্যে পালানোর চেষ্টা কর। এসময় দস্যুদের ধাওয়া দিলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
-এটি