আওয়ার ইসলাম: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা। লণ্ডভণ্ড করে দেয় পুরী, কটক ও ভুবনেশ্বর শহর। পরে ফণী পশ্চিমবঙ্গের দিকে ছুটে যায়।
শুক্রবার সকালে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে ওড়িশার পুরী উপকূলে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশায় ৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ১১ লাখ মানুষকে সরাতে হয়েছে অন্যত্র। খাবার সরবরাহের জন্য খোলা হয়েছে ৫০০০ গণ রান্নাঘর।
সকালে ওড়িশার গঞ্জাম, খুরদা, পুরী ও জগিসংহপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১.৫ মিটার পর্যন্ত উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর ঝড় শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দীঘা, মন্দারমণি ও মেদিনীপুরে। রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতাসহ আশপাশের অঞ্চলে।
এদিকে ফণীর প্রভাবে সকাল থেকেই ঝড়ের দাপটে ফুঁসেছে সমুদ্র। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে ওড়িশা উপকূলে। বাঁধ উপচে পুরীসহ উপকূলের শহরগুলোয় পানি ঢুকতে শুরু করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজস্থানের জনসভায় আশ্বাস দিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি রয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও প্রস্তুত। দুর্গতদের পাশে থাকার সবরকম আশ্বাস দেন তিনি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে মেদিনীপুরে সভা বাতিল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দফায় দফায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। সেখান থেকেই মনিটরিং করছেন পরিস্থিতির। ঝাড়খণ্ডে বাতিল হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সভাও।
এদিকে ৬ মে ভারতে লোকসভার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। প্রচারের জন্য হাতে আর মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত প্রচার কর্মসূচি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপিসহ সব রাজনৈতিক দল। এ ছাড়া ওড়িশায়ও বিজেপি, বিজেডিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে।
-এএ