আওয়ার ইসলাম: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড় ও বজ্রপাতে দুই দিনে কিশোরগঞ্জ, বাগেরহাট, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরগুনা, নোয়াখালী, ভোলা, লক্ষীপুর ও পটুয়াখালীতে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৩ মে) দিবাগত রাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ঝড়ো বাতাসে কাঠের ঘর ধসে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়। নোয়াখালীতে ঝড়ো বাতাসের আঘাতে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে মুহা. ইসমাইল নামে ১৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে আম কুড়াতে গিয়ে ঝুমুর (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশু মারা গেছে।
এছাড়া, গতকাল শুক্রবার কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, বাগেরহাট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত হন মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭), বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মুহা. গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২২), পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের আয়েছ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৪৫) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬)।
নেত্রকোনার গোবিন্দ্রশ্রী হাওরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ঝড়ো বাতাসের আঘাতে বাগেরহাটে গাছ পড়ে মারা যান এক নারী।
শনিবার (৪ মে) সকালে ভোলায় ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৫০) নামে এক নারী নিহত হন। লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগী গ্রামে আনোয়ারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। পটুয়াখালীর কুয়াকাটার তীব্র বাতাসে গাছের ডাল ভেঙে শুক্রবার আহত মোটরসাইকেল চালক হাবিবুর রহমান মুসুল্লি (২৫) বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের মনসাতলী এলাকায় রাত ১১ টার দিকে গাছের ডাল ভেঙে পড়লে তিনি আহত হন। এ ঘটনায় আরও দুই জন আহত হন।
-এএ