আওয়ার ইসলাম: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সন্ধ্যার পর থেকে সাগরে বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন সেন্টমার্টিনের মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের মতো আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। শাহপরীর দ্বীপে শতাধিক ব্যক্তিকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ রবিউল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখনও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তাদেরও নিয়ে যাওয়া হবে। দ্বীপের লোকজন যাতে আশ্রয় নিতে পারে, সেজন্য স্কুল, আবহাওয়া অফিস, ডাকঘর ও হোটেলগুলো খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাছাড়া দ্বীপে বৃষ্টি না হলেও বাতাস শুরু হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম, রেডক্রিসেন্টের লোকজন ও দ্বীপের দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহা. ফয়সল হাসান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দ্বীপে মোতায়ন বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাজ করছেন তারা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের এক স্থানীয় বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে দ্বীপে বাতাস বেড়েছে। লোকজন আশ্রয় নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। ঘূর্ণিঝড় এলে দ্বীপের বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত কাটে। আগের তুলনায় দ্বীপের অবস্থাও ভাল না।
-এএ