আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর জুরাইনে বাসা-বাড়িতে সুপেয় পানির অভাবে স্থানীয় মসজিদ-মাদরাসা থেকে পানি সংগ্রহ করছেন বাসিন্দারা।
তাদের অভিযোগ, জুরাইন এলাকায় ওয়াসা থেকে যে পানি সরবরাহ করা হয়, তা গৃহস্থালী কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না। অবিলম্বে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবি জানান তারা।
এলাকাবাসী বলেন, অনেক বছর ধরে পানিতে ময়লা আসে, পানিটা ফুটিয়ে খেতে হয়। খালি পানিও আমরা ব্যবহার করতে পারি না। সিরিয়াল ধরে মসজিদ থেকে পানি এনে খেতে হয়, গোসল করতে হয়, অন্যান্য কাজ করতে হয় আমাদের।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগরীতে ওয়াসার পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া আছে কি না- তা পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করার জন্য দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ই মে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।
এদিকে, না ফোটানো ওয়াসার পানি দিয়ে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে শরবত খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়ে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ করলেন একদল নগরবাসী। 'ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়' দাবি করে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে ওয়াসা ভবনে জুরাইন ও রামপুরার কয়েকজন বাসিন্দা শরবত নিয়ে আসেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ বলে, লাইন ঠিক করার পর তারা না ফোটানো পানি দিয়ে বানানো শরবত খাবেন।
মূলত, গত ২০ এপ্রিল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ওয়াসার এমডি দাবি করেন, ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। শুধু শুধু তা ফুটিয়ে নগরবাসী গ্যাসের অপচয় করছে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার না ফুটানো পানি দিয়ে ওয়াসার এমডিকে শরবত খাওয়াতে আসেন কয়েকজন সচেতন নাগরিক। তারা সঙ্গে করে পানি ও শরবতের আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও নিয়ে আসেন। তবে দেখা মেলেনি সংস্থার এমডির। বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে এ সময় তারা দেড় ঘণ্টা ওয়াসা ভবনের সামনে অবস্থান করেন।
ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রথমে পড়তে হয় পুলিশি বাধার মুখে। পরে দুপুর একটার দিকে তাদের মধ্যে একজন পরিচালকের রুমে নেয়া হয়। সেখানে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, পানিতে নয় সমস্যা থাকতে পারে লাইনের পাইপে। পরে লাইন ঠিক করে দেয়ার আশ্বাসে ওয়াসা থেকে বাড়ি ফেরেন অভিনব প্রতিবাদে অংশ নেয়া বিক্ষুব্ধরা।
আরএম/