আওয়ার ইসলাম: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ দার্শনিক সফোক্লিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘এই পৃথিবীতে অনেক বিস্ময় রয়েছে। কিন্তু মানুষের মতো বিস্ময় আর কিছু নেই। গ্রন্থবিমুখতাই হলো অন্ধকার। আর গ্রন্থপ্রবণতাই হলো আলো। এই আলো মানুষের ভেতর পড়লেই মানুষ সৃজনশীলতায় আসবে, মননশীলতা জাগ্রত হবে আর কপিরাইট বন্ধ হবে।’
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বগ্রন্থ ও কপিরাইট দিবস উদযাপন উপলক্ষে ২৩ এপ্রিল ২০১৯ সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে ‘আমাদের সৃজনশীল গ্রন্থ ও মেধাস্বত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা তিনি একথা বলেন।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, একটি বইয়ের অবদানে মানুষ পর্বতের নিচ থেকে একেবারে পর্বতের চূড়ায় চলে যেতে পারে। আর এটি সম্ভব হয় এক মাত্র বইয়ের কারণে।
সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন তার বক্তব্যে বেশি বেশি সৃষ্টিশীল তথা ভালো বই পড়ার উৎসাহ দেন। কারণ ভালো বই মনকে উন্নতির দিকে জাগ্রত করে আর মন্দ বই মনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়।
প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক কপিরাইটের সীমানা ও প্রয়োগের বিষয়ে সুষ্ঠু আইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং সৃজনশীল লেখক হওয়ার জন্য প্রবলভাবে ব্যক্তিত্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দেন।
আলী ইমাম বলেন, সৃজনশীল বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ মননশীল হয়। মানুষের মধ্যে স্বপ্নবোধ জাগে। মানুষকে স্বপ্নের সমান বড় হতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ফারহানা ইয়াসমিন জাহান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. সরকার আবদুল মান্নান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি খান মাহবুবুল আলম, সাপ্তাহিকের নির্বাহী সম্পাদক শুভ কিবরিয়া প্রমুখ।
আরএম/