আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাজ্যে ৬ কোটি টাকার অধিক পাচারের মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছ।
বুধবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য এদিন ঠিক করেন। এর আগে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। ওই হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৬ কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন। এই অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পরের বছর ২৬ এপ্রিল ওই একই ব্যক্তি মামলাটি তদন্ত করে মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
বিগত তত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে আরেকটি অর্থপাচার মামলায় একই আদালত ২০১৩ সালে তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আরএম/