রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
চট্রগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার ফজিলত ২য় বর্ষের (মেশকাত) পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ)।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় যাত্রাবাড়ীর কাজলায় বেফাকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খাস কমিটির একটি জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত বেফাকের সহ-সভাপতি আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও জরুরি এ বৈঠকে আরও দুটি সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি। সিদ্ধান্ত দু’টি হলো-
১. প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সনাক্তদের ব্যাপারে আইনজ্ঞদের সাথে কথা বলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম-এর (হাটহাজারী মাদরাসা) মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে মাদরাসাটির পরীক্ষা বাতিলের ব্যাপারে মতবিনিময় করতে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ।
বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা নুরুল ইসলাম, বেফাক মহসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মাওলানা মাহফুজুল হক।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল) এবং বেফাকের অধীনে অনুষ্ঠিত ফজিলত ২য় বর্ষের (মেশকাত) পরীক্ষা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
শীর্ষ মুরুব্বিদের এ সিদ্ধান্তের পরও চট্রগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসাসহ সারাদেশের আরও কয়েকটি কেন্দ্রে ওই শ্রেণীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল বেফাকের খাস কমিটির একটি জরুরী বৈঠক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্রগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসাসহ অন্যান্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সকল পরীক্ষা বাতিল করা হয়। আজকের এ বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল বেফাক।
বৈঠকে বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী, সহ-সভাপতি আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হামীদ (মধুপুরের পীর), মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসলেহুদ্দিন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, বেফাকের মহসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নুরুল আমিন,ময়মনসিংহের মাওলানা আব্দুল হক, বেফাকের কোষাধ্যক্ষ মাওলানা মনির আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) এর ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হয়। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ফজিলত ২য় বর্ষের (মেশকাত জামাত) জামাতের সকল পরীক্ষা বাতিল করে বেফাক কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ওই শ্রেণীর পরীক্ষা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরএম/