আওয়ার ইসলাম: যশোরের মণিরামপুরে আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল ও চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগে নেংগুড়াহাট ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্র বাতিল ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আব্দুল ওহাবসহ ছয় কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। এদিকে একই অভিযোগে মণিরামপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত আলিম ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতা করার অভিযোগে সন্ধ্যায় এসব সিদ্ধান্ত নেন ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। অব্যহতি দেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদরাসা বোর্ডকে সুপারিশও করেছেন তিনি।
বহিস্কৃৃত কক্ষ পরিদর্শকরা হলেন- মণিরামপুর মহিলা আলিম মাদরাসার শিক্ষক নূরুল ইসলাম, ধলিগাতি-সুন্দলপুর আলিম মাদরাসার শিক্ষক ফিরোজা বেগম, লাউড়ী-রামনগর কামিল মাদরাসার শিক্ষক ইকবাল হোসেন, বাহিরঘরিয়া গোপালপুর মাদরাসার শিক্ষক তাজাম্মুল হক, শ্রীপুর আদর্শ মহিলা মাদরাসার শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, মণিরামপুর ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ, ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আক্তারুজ্জামান এবং হাজরাকাটি আলিম মাদরাসার আরবি প্রভাষক মতিউর রহমান।
নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য মণিরামপুর প্রশাসন চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য উপজেলার নয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার উপজেলার নেংগুড়াহাট ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে আলিম ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে স্থানীয় প্রশাসন ওই কেন্দ্রে গন-হারে নকলের অভিযোগ পান।
অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান ওই কেন্দ্রে গেলে সত্যতা মেলে। এসময় তিনি আলামত হিসেবে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এর পরপরই ওই কেন্দ্রে যান ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। পরে তিনি অফিসে ফিরে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের সহকারী সন্তস কুমার বলেন, নেংগুড়াহাট মাদরাসা কেন্দ্রে অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাবের পরিবর্তে উপজেলা পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুস সবুর সরদারকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রের অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর নেংগুড়াহাট কেন্দ্রের ছয় কক্ষ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে সুপারিশ করেছেন ইউএনও।
প্রসঙ্গত, নেংগুড়াহাট ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে তিনটি কক্ষে ছয়জন কক্ষ পরিদর্শকের অধীনে ৯৯ জন পরীক্ষার্থী ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
আরএম/