আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রে ২০১১ সালের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে এই মুসলিম কংগ্রেস সদস্যের মনোভাব তাচ্ছিল্যপূর্ণ বলে একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকেই মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ইসলামি পরিষদের আইন প্রণেতা ইলহান ওমরকে ক্রমাগত হত্যার হুমকি পাচ্ছেন।
ট্রাম্প উগ্র ডানপন্থীদের খেপিয়ে তুলছেন বলে অভিযোগ তুলে ইলহান ওমর বলেন, এটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। অবশ্যই এ খেলা বন্ধ করা উচিত।
তিনি বলেন, উগ্র ডানপন্থী, শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের সহিংস অপরাধ এবং অন্যান্য ঘৃণ্য অপকর্ম বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলছে। কাজেই এ মাটিতে সর্বোচ্চ পদ দখলকারী যে তাতে উসকানি দিচ্ছেন, তা আমরা অস্বীকার করতে পারব না।
ইলহান ছাড়াও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যানসি পেলোসিও এ ঘটনায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। তিনি মিনেসোটার এই ডেমোক্র্যাট সদস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ওই ভিডিওতে তুলে নিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পেলোসি।
হাউস স্পিকারের আহ্বানের পর ট্রাম্পের টুইটার ফিড থেকে ভিডিওটি আনপিনড করা হয়েছে। কিন্তু সেটি মুছে দেয়া হয়নি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের আইনসভার প্রতিনিধি মুসলিম নারী কংগ্রেস সাংসদ ইলহান ওমরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম প্যাট্রিক কারলিনিও (৫৫)।
আটককৃত আসামী ইলহান ওমরের ওয়াশিংটন অফিসে ফোন করে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। নিজেকে ট্রাম্প সমর্থক দাবি করে বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী। আমি মুসলিমদের ঘৃণা করি।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রথম মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্য হিসেবে কুরআন শরিফের ওপর হাত রেখে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েন ইলহান ওমর। বিপুল সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ ও অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দু’জন মুসলিম নারী শপথ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদ বৈচিত্রময় রূপ নিয়েছে।
মিনে সোটার ডেমোক্রেট দল থেকে নির্বাচিত ইলহান ওমর আগেও বেশ কয়েকবার মার্কিন রাজনীতির ওপর ইসরায়েল ও ইহুদিবাদী লবির বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন।এরপর শুরু হয় নানা সমালোচনা ও ষড়যন্ত্র। সমালোচকরা ‘ইহুদি-বিদ্বেষের’ অস্ত্রে ঘায়েল করতে চায় ইলহান ওমরকে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন- বক্তব্য না, বরং ব্যক্তি ইলহান ওমরই সমালোচকদের প্রধান টার্গেট।রিপাবলিকানরা বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারংবার ভীষণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
আরএম/