আওয়ার ইসলাম: মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে মো. শামীম (১৯) ও কামরুন্নাহার মনি (১৮) নামে আরও দুজনকে আটক করেছে পিবিআই। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শামীম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন ও মনি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, শামীমকে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম তুলাতলি গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। আর কামরুন্নাহার মনি নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে মনির সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
নুসরাতকে পুড়িয়ে মারতে ব্যবহৃত এক লিটার কেরোসিন পলিথিনে বহন করে এনেছিল কামরুন্নাহার মনি। সে সম্পর্কে নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া শাহাদাতের ভাগ্নি।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠি নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় নুসরাত।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নীপিড়নের অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরএম/