আওয়ার ইসলাম: ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার মূল হোতা মুহাম্মদ আলীসহ ৩ জনকে নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
ফতুল্লার ভোলাইল এলাকার একটি ঝুটের গোডাউন থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এদিকে বৃহস্পতিবার বাদ আসর বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর স্কুল মাঠে জানাযা নামাজ শেষে চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের লাশ।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের কালাম চৌধুরী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মু. শহীদুল্লাহ, পঞ্চায়েত প্রধান শহীদুল্লাহ ফকির, নাসিরউদ্দিন মাদবর, বক্তাবলী ইউপি মেম্বার রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশষ্টি জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের লাশ পৌছলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে গ্রেফতার ৩ জনকে শুক্রবার রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন। তিনি জানান, গ্রেফতার ঝুটের গোডাউন মালিক মোহাম্মদ আলী, দুইজন কর্মচারী ফয়সাল ও ইউনুস পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা জানান, সেলিম গার্মেন্টে ঝুট ব্যবসা করেন। ৩১ মার্চ সকালে বাসা হতে ব্যবসার কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বের হন। সেদিন বেলা ১১টায় সেলিম চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি জানান ফতুলস্নার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর দুপুর ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, ভোলাইলের মোহাম্মদ আলী নামের এক ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলো সেলিমের।
-এএ