আওয়ার ইসলাম: গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে না, সমন্বয় করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও সমন্বয় অব্যাহত থাকবে। কারণ সরকার ভতুর্কি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। অবশ্য ব্যবসায়ীরা যদি রাতে শিল্প চালু রাখতে চায় তাহলে বিশেষ ট্যারিফের ব্যাপারের চিন্তা-ভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলের ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান।
‘জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ: শিল্পখাতে এর প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর। সেমিনারে শিল্প উদ্যোক্তা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০১০ সালের সরকার জ্বালানি খাতে একটি মাস্টার প্লান করে, যাতে ২০২১ ও ২০৪১ সালের গ্যাসের চাহিদা নিরূপন করা হয়। জাইকা এতে সহযোগিতা করে। কোন জ্বালানি দিয়ে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে তার বিস্তারিত রয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গ্যাস কূপ খনন সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। একটি গ্যাস কূপ খনন করতে ৯-১৬ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। গ্যাস ওঠানো, ডিস্ট্রিবিউশন হিসেব তা অনেক সময় লাভজনক হয় না। যেমন পূর্বাচলে গ্যাস কূপ পেয়েও সেটা খনন করা হয়নি, কারণ খরচ বেশি।
তারপরও ১০৮টি কূপ খননের পরিকল্পনা আছে। অনেকে বলেন, দেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে। এটাও সত্য নয়। সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে ৬টি ব্লক কনকোফিলিপসকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় তারা চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সোচ্চার। কিন্তু গভীর সমুদ্রে গ্যাস পেলেও তা আনতে ৮ বছর সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতে ১২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠানের বিল বকেয়া আছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা শুরু করলে এক হাজার শিল্প কারখানায় গ্যাস বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, রাতে গ্যাস-বিদ্যুতের চাপ কম থাকে। এ সময় শিল্প চালু রাখলে বিশেষ ট্যারিফ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
-এএ