আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের মুসলমানদের মাঝে ইসলামি চেতনা, ঈমানি জযবা, ঐক্য ও সংহতি স্থাপনের লক্ষ্যে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারী মু’মিন ব্যক্তির উপর হজ জীবনে একবার ফরজ করা হয়েছে।
হজ শব্দটি আরবী, এর শাব্দিক অর্থ- ইচ্ছা ও অভিপ্রায় করা, সাক্ষাত করা, পবিত্র বস্তুর প্রতি ইচ্ছা পোষণ করা।
ইসলামী পরিভাষায়, ইসলামের একটি মহান রুকন আদায় করার নিমিত্তে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নৈকট্য লাভের আশায় কুরআন-সুন্নাহ্ অনুসারে নির্দিষ্ট কিছু কাজ নির্দিষ্ট সময়ে বায়তুল্লাহিল হারামে সম্পাদন করাকেই হজ বলা হয়।
অনেকে জানলেও নারীদের ক্ষেত্রে হজ ফরজ হওয়ার বিধান নিয়ে আমরা অনেকেই সংশয়ে থাকি। সামনে আলোচিত বিষয়গুলো পাওয়া গেলে একজন মুসলিম নারীর ওপর হজ ফরজ হয়।
১. বুঝমান হওয়া ২.সাবালক হওয়া ৩. স্বাদীন হওয়া ৪. নিজের ও তার সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম পুরুষের যাতায়াতের ব্যয় নির্বাহে সক্ষম হওয়া ৫.হজের বিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া ৬.সুস্ত হওয়া ৭.রাস্তা নিরাপদ ও নিবিঘ্ন হওয়া ৮.তালাক বা স্বামী- মৃত্যুর ইদ্দত পালনাবস্তায় না থাকা ৯. হজের মৌসুম হওয়া।
তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২৮০, আহসানুল ফাতাওয়া: ৪/৫৩২, বাদায়ে সানায়ে:২/৫৩৭
আরএম/