মাওলানা মুহাম্মাদ আবূ মূসা
মুহতামিম, শেখ জনুরুদ্দিন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসা, চৌধুরীপাড়া ঢাকা
কওমি মাদরাসায় শুধু কুরআন হাদিসের জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয় না। এখানে যারা ছাত্র হয়ে আসে তাদের সত্যিকারের মানুষ বানিয়ে দেওয়া হয়। ইলম শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি ছাত্রদের আমল-আখলাক ও তরবিয়তের দিকেও খেয়াল রাখেন শিক্ষকরা। এটাই আমাদের কওমি মাদরাসগুলোর উসুল।
এ ক্ষেত্রে একজন ছাত্রকে ইলমি ও আমলি জিন্দেগীর প্রতি যত্মবান হতে হবে। একজন তালিমি মুরুব্বি ও ইসলাহী মুরুব্বি নির্বাচন করে তার পরামর্শ অনুযায়ী ছাত্রদের জীবন পরিচালনা করতে হবে।
ছাত্র জীবনে তালিমে মুরুব্বির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। সবাই এ কথাটি ভালোভাবে জানেন যে অভিভাবক ছাড়া কোন কাজে শতভাগ সফলতা আসে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের শুধু কিতাব পাঠাননি বরং কিতাবের সাথেসাথে একজন শিক্ষককে পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের প্রিয় রাসূল ও শিক্ষক হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুতরাং, আমাদের সকলকে অভিভাবকে মেনে চলতে হবে, এটা আল্লাহ তায়ালার বাতলানো পদ্ধতি।
একজন ছাত্র তার প্রাথমিক জীবনে তালিমে মুরুব্বি ব্যতীত সঠিক পথ নির্ণয় করতে পারে না। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ভুল পথে জীবন পরিচালিত করে। অনেকে অকালে ঝরে পড়ে।
তালিমে মুরুব্বির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আমাদের আকাবির পূর্বসূরীগণ সকলেই কোন কোন উস্তাদকে নিজের মুশীর নির্বাচন করেছেন। এ কারণে তারা নিজেরাও আকাবির হতে পেরেছেন।
বর্তমানে সেই প্রয়োজনীয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এখন অকালে ঝরে পড়ার উপাদান অনেক বেশি। সুতরাং, বর্তমানে কেউ যদি সত্যিকারের মানুষ এবং ভালো আলেম হতে চান তবে তালিমে মুরুব্বি ও ইসলাহী মুরুব্বি নির্বাচন করা আবশ্যক। এর বিকল্প নেই।
এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়, কাকে তালিমে মুরুব্বি বানাবো? খুবই সহজ উত্তর, যেই উস্তাদকে আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে এবং তিনি ইলমে বিশেষ পান্ডিত্য রাখেন ও আমলের প্রতি যত্মবান- তাকে তালিমে মুরুব্বি হিসেবে বাছাই করব। তাহলে আমরা সফলকাম হব।
শ্রুতিলেখন: রকিব মুহাম্মদ