হামিম আরিফ: জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বায়তুল মোকাররমে কবি আল মাহমুদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টার পর কবির মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। সেখানে কবি, সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
তবে কবিকে তার আত্মীয় ও ভক্তরা শহীদ মিনারে নিতে চাইলেও অনুমোদন মেলেনি। এ নিয়ে কবি ও লেখকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা শহীদ মিনারে কবির মরদেহ নিয়ে যেতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতি দেয়নি। আমরা সব অপমানের জবাব দেব। কিন্তু কিন্তু উনার সামনে এখন আমরা কটূ কথা বলব না।
এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে লেখক সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিরা শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কবিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন যে স্বাধীনতা, সেটির পেছনে তার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। তার অনুপস্থিতিতে তার স্বপ্ন জারি থাকুক, এই সমাজকে নিয়ে দেখা তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক। যখন তার প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি, তখন তাকে আল্লাহ তায়ালা নিয়ে গেছেন। তিনি শ্রেষ্ঠতম স্থানটি পাক।
সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, আল মাহমুদ মূলধারার একজন অগ্রজ নাগরিক ছিলেন। তার প্রয়াণে বাংলা সাহিত্যে যে শূন্যতা তৈরি হলো, তা পূরণ হওয়ার নয়।
আধুনিক কবিতার জনপ্রিয় কবি আল মাহমুদ শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান। উনার ইচ্ছা ছিল শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করবেন। আল্লাহ তার ইচ্ছা পূরণ করেছেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কবির মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমিতে। সেখানে একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবির মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরআর