আমিনুল ইসলাম হুসাইনী
সাব্বির জাদিদ, বর্তমান সময়ের উঠতি কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। যিনি লেখায় ফুটিয়ে তুলেন জীবন প্রবাহের নানা উপাখ্যান।
অভিনব প্লট, শৈল্পিক ভাষার প্রয়োগ, চমৎকার বর্ণনা আর অনুপম উপমায় এই শিল্পীর ক্যানভাসে চিত্রায়িত হয় সমাজ জীবনের নানা অসঙ্গতি। তার এই নির্ভীক বাস্তবমুখিতাই পাঠককে কাছে টানতে সহায়ক করেছে। এই অসাধারণ গুণেই পাঠক মহলে তিনি আজ ‘কথাশিল্পী’র খ্যাতি লাভ করেছেন। পাঠকপ্রিয় এই লেখকের ভিন্নধর্মী উপন্যাস ‘ভাঙনের দিন’ এসেছে এবারের বইমেলায়।
ভাঙনের দিন উপন্যাসের কাহিনী একটু ভিন্ন রকমের। এ বইয়ে পাঠকের চোখে ভেসে উঠবে কীভাবে দিন বদলের সাথে মনও বদলে যায় অতি কাছের মানুষের। নিছক মতানৈক্যে ভেঙে যায় সম্পর্কের মিনার। এমনই ইঙ্গিত রয়েছে ভাঙনের দিনের ফ্লাপে। ফ্ল্যাপের একাংশে লেখা- ‘নতুন শতকে পৃথিবীর অনেক কিছু বদলে দিয়েছে প্রযুক্তি। বদলে দিয়েছে জীবন এবং জীবনযাপনের ধরন। এখন আর আমরা একটি দেশের মানুষ নই, আমরা পৃথিবীর মানুষ; বিশ্ব নাগরিক। কিন্তু অনুতাপের বিষয়, এই পরিবর্তন কল্যাণের পথে ধাবিত না হয়ে নেমে গেছে পতনের ধারায়।’
পতন এসেছে ধর্মের আচার এবং সহনশীলতায়ও। হানাফি আর আহলে হাদিস দ্বন্দ্বে দিশেহারা এদেশের সাম্প্রতিক নামাজি মুসলমান। তুচ্ছ মতানৈক্যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে মসজিদ, ভাগ হচ্ছে হৃদয় এবং সম্পর্ক। এইসব সংকট, অস্থিরতা এবং ভাঙনকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে ভাঙনের দিন। যা মানুষের বোধের জগতকে নাড়া দেবে নিঃসন্দেহে।
বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। উন্নত কাগজ আর ঝকঝকে ছাপা বইয়ের পৃষ্ঠা ১১২, মুদ্রিত মূল্য ২০০।
অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন থেকে বইটি পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যের ৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে। যারা গল্পের ভেতর দিয়ে সময় এবং সমাজের নানা অসঙ্গির প্রতি প্রশ্নের চোখ রাখতে ভালোবাসেন, ভাঙনের দিনে তাদেরকে স্বাগতম।
আরআর