আবদুল্লাহ তামিম: টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠেয় এবারের বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে তাবলিগের সাথীদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজ।
বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের আহলে শুরার পক্ষে শুরা সদস্য মাওলানা হুসাইন আহমদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনাগুলো দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ১. আগামী টঙ্গী ইজতেমা ১৫, ১৬ ও ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (শুক্র, শনি ও রোববার) অনুষ্ঠিত হবে। ২. যে সমস্ত সাথীগণ বিদেশী মেহমানগণের সাথে জুড়বেন তারা রিজার্ভ তাশকিলের কামড়ায় প্রথম থেকেই আলাদাভাবে থাকলে ভাল হয়।
৩. এখন থেকেই ৭/১০ দিনের জামাত বের করে ইজতেমার নগদ খুরুজের জন্য জোড় মেহনত করলে ভাল হয়। ৪. আজায়েম অনুসারে, নগদ জমাতের লিষ্ট বানিয়ে উছুলের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।
৫. মাস্তুরাতগণকেও দোয়া, নামাজ ইত্যাদিতে মশগুল হয়ে ইজতেমার কামীয়াবীর জন্য ফিকির করলে ভাল হয়। ৬. টঙ্গী ময়দানের কাজ শুরু হওয়ার অনুমতি প্রাপ্তির পরে পরেই আমাদের পক্ষ থেকে যখন জানানাে হবে তখন মেহেরবানী করে আপনার জিলা থেকে কাজের জন্য যােগ্য সাথীগণকে পাঠালে ভাল হয়।
৭. হার তবকাওয়ারী মেহনত (যেমন ছাত্র, শিক্ষক, খাওয়াছ, ব্যাবসায়ী, মজদুর, গােরাবা ইত্যাদি)। ইজতেমার পূর্বেই আঞ্জাম দিলে ভাল হয়। ৮. ইজতেমার সকল তাকাজায় হাযারাত ওলামায়েকেরামগণকে সাথে নিয়ে আঞ্জাম দিলে ভাল হয়।
৯. প্রত্যেক জেলা ও হালকার বড় বড় ওলামা হারাত ও পীর মাশায়েখগণের নিকট হাজিরি দিয়ে দোয়া চাওয়া এবং উনাদেরকে ইজতেমায় শিরকত করার জন্য মাকুল ইন্তেজাম করা।
১০। বড়দের বাতানাে তরিকা অনুসারে পূর্বের ন্যায় আমরা জানতােড় মেহনত করব ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমায় প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ লোকের জমায়েত হয়। আর এ কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়।
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগের মুরব্বিদের অংশগ্রহণেই এই ইজতেমা সর্বজনীনতা লাভ করে। ভারত-পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্বের জেরে দুই দেশের ইজতেমায় দুই দেশের তাবলিগের মুরব্বিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ কম থাকে।
এ ছাড়া, ভিসা জটিলতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণেও অন্যান্য দেশের মুসল্লিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বেশি থাকে না। এদিকে বাংলাদেশের ইজতেমায় ভারত-পাকিস্তানের মুরব্বিরা সহজেই আসতে পারেন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপেষকতার কারণে অন্য দেশের মুসল্লিরাও এই ইজতেমায় অংশ নেওয়ার জন্য সহজে ভিসা পান।
বাংলাশে ছাড়াও বড় পরিসরে ভারত ও পাকিস্তানেও ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া, অন্য অনেক দেশেই ছোট পরিসরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
-এটি