আওয়ার ইসলাম: টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠেয় এবারের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়ার দাওয়াত জানিয়ে আন্তর্জাতিক তাবলীগ জামাতের সদস্যসহ বিশ্বের নানা দেশের মুসল্লিদের চিঠি পাঠিয়েছে কাকরাইল মারকাজ। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে এ দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশ আহলে শুরাহের পক্ষে তাবলিগ মারকাজ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং মাদ্রাসা উলূমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদের প্রিন্সিপাল ও ইমাম মাওলানা মো. জুবায়ের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হওয়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার ‘এক’ ইজতেমা হবে। এবারের ইজতেমার তারিখ ঠিক হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি। এতে দিল্লির মাওলানা সাদ এবার আর যোগ দিতে আসছেন না। এ ইজতেমার ব্যাপারে সব ধরনের করণীয় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের তাবলিগের আহলে শুরাহ।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমায় প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ লোকের জমায়েত হয়। আর এ কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়।
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগের মুরব্বিদের অংশগ্রহণেই এই ইজতেমা সর্বজনীনতা লাভ করে। ভারত-পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্বের জেরে দুই দেশের ইজতেমায় দুই দেশের তাবলিগের মুরব্বিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ কম থাকে। এ ছাড়া, ভিসা জটিলতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণেও অন্যান্য দেশের মুসল্লিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বেশি থাকে না। এদিকে বাংলাদেশের ইজতেমায় ভারত-পাকিস্তানের মুরব্বিরা সহজেই আসতে পারেন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপেষকতার কারণে অন্য দেশের মুসল্লিরাও এই ইজতেমায় অংশ নেওয়ার জন্য সহজে ভিসা পান।
বাংলাশে ছাড়াও বড় পরিসরে ভারত ও পাকিস্তানেও ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া, অন্য অনেক দেশেই ছোট পরিসরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
কেপি