প্রশ্ন: আমি ব্যবসায়িক কাজে মাঝে-মধ্যেই বিদেশ সফর করি। দেশে থাকলে আমি হানাফি মাজহাব অনুসরণ করি। কিন্তু বিদেশে গেলে আমাকে অন্য মাজহাবের ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করতে হয়। প্রশ্ন হলো, বিদেশে অবস্থানকালীন আমি কি অন্য মাজহাবের ইমামের পেছনে ইকতিদা করব না একাকি নামাজ আদায় করব?
উত্তর: যদি অন্য মাজহাবের ইমামের ব্যাপারে সুনিশ্চিতভাবে জানা থাকে যে, তিনি নামাজের ফরজসমূহ আদায়ের ক্ষেত্রে হানাফি মাজহাবের প্রতিও খেয়াল রাখেন তাহলে একাকি নামাজ পড়ার চেয়ে তার পেছনে ইকতিদা করাই উত্তম। আর যদি জানা থাকে যে, তিনি ফরজসমূহের ক্ষেত্রেও হানাফি মাজহাবের প্রতি খেয়াল রাখেন না তাহলে তার পেছনে ইকতিদা করা যাবে না। আর যদি কিছুই জানা না যায়, তবে এমন ব্যক্তির ইকতিদা করা মাকরূহ হলেও তার পেছনে জামাতে নামাজ পড়াই উত্তম। তবে শর্ত হলো, মুক্তাদির মাজহাব অনুযায়ী ইমাম সাহেব থেকে নামাজ ভঙ্গের কোনো কারণ (যেমন, শরীরের কোনো স্থান হইতে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া ইত্যাদি) প্রকাশ না পাওয়া। এমন কিছু প্রকাশ পেলে মুক্তাদির নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বিতির নামাজে অতিরিক্ত একটি শর্ত রয়েছে। তাহলো ইমাম সাহেবের তৃতীয় রাকাতের আগে সালাম না ফেরানো। অর্থাৎ ইমাম যদি দ্বিতীয় রাকাতের মাথায় সালাম ফেরায় তবে তার পেছনে ইকতিদা করা জায়েজ হবে না।
দলিলসমূহ:
ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/২৪৮
وإن تيقن المراعاة لم يكره أو عدمها لم يصح وإن شك كره. (الدر المختار) أي المراعاة في الفرائض من شروط وأركان في تلك الصلاة، وإن لم يراع الواجبات والسنن.
হাশিয়াতুত তহতবী আলাদ্দুর ১/২০৫
قال بدر الدين العيني رحمه الله تعالى: يجوز الاقتداء بالمخالف وكل بر وفاجر ........ ما لم يتحقق من إمامه مفسد لصلاته في اعتقاده، وإذا لم يوجد غير المخالف فلا كراهة في الاقتداء به والاقتداء به أولى من الانفراد على أن الكراهة لا تنافي الثواب.
আরও দেখুন:
রদ্দুল মুহতার ৫/১২০
আল বাহরুর রায়েক ৪/২২৮
উত্তর প্রদান করেছেন: মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব
সহকারী মুফতি, জামিয়া রহমানিয়া সওতুল হেরা, টঙ্গী, গাজীপুর।
সম্পাদক, মাসিক আলহেরা (আরবি ম্যাগাজিন)