আওয়ার ইসলাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা নিজেদের পছন্দের পিএস না পেলেও এপিএস (সহকারী একান্ত সচিব) পাবেন পছন্দ মতো।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ দফতরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে এখন থেকে পিএস সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে সময়ের প্রয়োজনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করে সৎ, যোগ্য এবং পরীক্ষিত কর্মকর্তাদের একান্ত সচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামীতে এই নতুন ব্যবস্থাটিই বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী এবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামত ছাড়াই পিএস নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের তদারকির অংশ হিসেবে অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পিএস হিসেবে উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পছন্দ মতো পিএস নিয়োগ দিতে পারতেন। তবে সে কর্মকর্তা প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদার নিচে হত না।
তবে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা মন্ত্রিসভার সদস্যদের এপিএস হতে পারেন। কিন্তু এপিএস নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের সম্পূর্ণ ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সাধারণত রাজনৈতিক বিবেচনায় এপিএস নিয়োগ দিয়ে থাকেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা পছন্দ মতো এপিএস নিয়োগ দিতে আধা সরকারি পত্র দিলে সেটার ওপর ভিত্তি করে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
-এটি