আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ভারত। তবে এ তালিকায় মুসলিমরা নেই বলে জানিয়েছে দেশটি।
মুসলিম ছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে তারা।
মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনে একটি বিল পাস হয়েছে।
আজ বুধবার রাজ্যসভায় আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা। এটি হলে বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু ২০১৪ সাল পর্যন্ত আসাম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে চলে গিয়েছিল, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
তবে এমন বৈষম্যমূলক আইন নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে আসাম। আসাম গণপরিষদ, অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নসহ (আসু) প্রায় সব গণসংগঠন এই বিলের বিরোধিতা করছে। এমনকি মঙ্গলবার আসাম বন্ধের ডাকও দেয়া হয়েছে।
নাগরিকত্ব এই বিলকে কেন্দ্র করে আসাম গণপরিষদ বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আসামে নাগরিকদের যে তালিকা (এনআরসি) তৈরির কাজ চলছে তাতে প্রায় ৪০ লাখ আসামবাসীর নাম বাদ পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালিদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই। ১৯৭১ সালের নথি সংগ্রহ করতে না পেরে ১০ লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে আবেদন করতে পারেননি।
আরআর