আফিয়া আফরিন:
বিয়ে মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একজন পুরুষ ও একজন নারীর মাঝে ইসলাম নির্দেশিত বৈধ উপায়ে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বংশ বৃদ্ধির বৈবাহিক সভ্যতা গড়ে ওঠে মুসলমানের। তবে যে কাউকে বিয়ে করার সুযোগ ইসলাম রাখেনি। কারণ ইসলাম সভ্য ও আদর্শের জীবনবাহী ধর্মের নাম ইসলাম। তাই ইসলাম মানবজাতির সভ্যতা ও আদর্শ রক্ষায় একজন পুরুষকে ১৪ নারীর যে কারোর সঙ্গে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ১৪ নারীর কারোর সঙ্গে একজন পুরুষের বিয়ে হারাম ও অবৈধ।
মানবজাতির সংবিধান আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কুরআনে সে ১৪ নারীর বিবরণ স্পষ্ট তুলে ধরা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, তেমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে-
১. তোমাদের মা
২. তোমাদের মেয়ে
৩. তোমাদের বোন
৪. তেমাদের ফুফু
৫. তোমাদের খালা
৬. তোমাদের ভ্রাতৃকণ্যা
৭. তোমাদের ভগিনীকণ্যা
৮. তোমাদের সেসব মা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করাইছে
৯. তোমাদের দুধ-বোন
১০. তোমাদের স্ত্রীর মা
১১. তোমরা যাদের সঙ্গে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের মেয়ে যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই।
১২. তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী
১৩. দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। এবং
১৪. অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম।
দ্রষ্টব্য: সূরা নিসা : ২৩, তাফসিরে মাজহারি ২/২৫৪।
এইচএএম