আওয়ার ইসলাম: দুই দফায় এক টেক্সটাইল ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে ৬টি কল আসে। একটিও রিসিভড করতে পারেননি তিনি। এরপরই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৮৬ লাখ রুপি হাওয়া হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে। এ নিয়ে মুম্বাই পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা সূত্র ওই ব্যবসায়ীর পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে তার বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে ছয়টি মিসড কল আসে, দুপুর ১১টা ৪৪ মিনিটি থেকে রাত ১টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে। তারপরেই এই প্রতারণার ঘটনা ঘটে।
সাইবার অফিসাররা একে ‘সিম সোয়াপ' বলছেন। এই পদ্ধতিতে অপরাধীরা তথ্যের অধিকার পেয়ে ওটিপি ব্যবহার করে টাকা ট্রান্সফার করে নেয়।
এনডিটিভির খবরে প্রকাশ, আগে প্রতারকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশদ, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ও অন্য ব্যক্তিগত তথ্য জেনে প্রতারণা করতো। এখন আরও নতুন নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণা চলছে। সিম সোয়াপ তেমনই এক পদ্ধতি।
ওই ব্যবসায়ী জানান, ৬টি মিসড কল দেখে তার সংশয় হয়। এর মধ্যে ২টি মিসড কল ছিল লন্ডন থেকে। এর কিছুক্ষণ পর তার মোবাইল ফোন কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে জানানো হয়, গত রাতে তারই অনুরোধে সিম কার্ডটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীর ভাষ্য, ‘বলা হয়, আমি নাকি ২৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফোন করে সিম কার্ড ব্লক করেছি। তারপরে সার্ভিস প্রোভাইডারের পক্ষ থেকে নতুন সিম কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। সেটা ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চালুও করা হয়েছে।’
তার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮টি ট্রান্সাকশন করা হয়েছে। কিন্তু সিমকার্ড ব্লক থাকায় তিনি জানতেও পারেননি। পরে তার এক কর্মচারী একটি ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য ব্যাংকে গেলে তিনি জানতে পারেন, তার সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।
‘অ্যাকাউন্ট চেক করে জানতে পারি, ওই টাকা প্রায় ১৫টি ভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এর কোনোটাই আমরা করিনি। আর আমরা নিয়মিত যে সব অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই, সেখানে টাকাটা যায়নি।’ বলেন তিনি।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আকবর পাঠান বলেন, ‘আমরা ১ কোটি ৮৬ লাখ রুপির প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধীরা ওই ব্যক্তির ফোন নম্বর ও ব্যাংকের তথ্য হাতিয়েছিল। মানুষের কাছে অনুরোধ, যদি বিনাকারণে আপনার ফোন বন্ধ হয়ে যায় দ্রুত তা পুনরায় চালু করুন, প্রয়োজনে পুলিশকে জানান।’ সূত্র- এনডিটিভি।
কেপি