আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়োগ দেয়া আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপ গণহত্যায় দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাক্ষাৎকার নেয় সংস্থাটি। সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তদন্তের বিস্তারিত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্তে সংস্থাটিকে নিয়োগ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত ৫০ বছরে মোট তিন দফায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকেছে। ১৯৭৭-৭৮, ১৯৯১-৯২ ও ২০১২ সাল। প্রতিবারই সহিংসতা এড়াতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এসব সহিংসতা ও নিপীড়নের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছে মিয়ানমারের সরকার। গত এপ্রিলে অং সান সু চি জাতিগত নির্মূলের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস রেসপন্স বিভাগের পরিচালক তিরানা হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়নের জন্য মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে সুনির্দিষ্টভাবে প্রচারাভিযান চালিয়েছে।
এ প্রক্রিয়াকে জাতিগত নির্মূল বলাটা কোনো ভুল নয়। সেখানে ছকে বাঁধা নিয়মে ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী একেকটি গ্রাম প্রথমে ঘিরে ফেলছে, পরে গুলি করছে এবং আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। আইনি ভাষায় বললে, এটি হলো মানবতাবিরোধী অপরাধ।’