আবদুল্লাহ তামিম
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনূর পাশা চৌধুরী।
২০ দলের শরিক মুফতি ওয়াক্কাস যশোর-৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন এর আগে। মনোনয়নের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি বলেন, আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছি তবে এখনো পত্র হাতে আসেনি।
অপর দিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ আসনের প্রার্থী শাহীনুর পাশা চৌধুরী।
অন্যদিকে জমিয়ত মনোনয়ন পেতে পারে নারায়নগঞ্জ-৪ ও সিলেট-৬ আসনে। জমিয়তের সাবেক এ এমপি শাহীনুর পাশা আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমাদেরকে মাত্র দুটি আসনের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। অন্তত ৭ টি আসনের জন্য আমাদের জোড়ালো দাবি ছিল। আমি আশাবাদী, আরো দুতিনটি আসনে জমিয়ত মনোনয়ন পাবে।
জমিয়তের মনোনীত আসনগুলোতে ভোটের লাড়াই কেমন হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে আমি আমার আসন থেকে একবার নির্বাচিত হয়েছি। সেই সময় আমার বিপরীতে আওয়ামী লীগের শক্তিশালি প্রার্থী ছিল। তবু জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছিল।
মুফতি ওয়াক্কাস নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, জেল-জুলুম-নির্যাতন করে মুক্তিকামী জনতাকে দমিয়ে রাখা যায় না। খালেদা জিয়াকে বন্দি করে পিছনের দরজা দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার যে স্বপ্ন দেখছে তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, দুটি জোটকে সঙ্গে নিয়ে ভোটে যাচ্ছে বিএনপি। ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্ট। ২০ দলীয় জোট যদিও সম্প্রসারিত হয়ে এখন ২৩ দল। বিএনপি ২৪০ আসনে প্রার্থী দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েকদিনের দরকষাকষিতে শরিকদের সর্বোচ্চ ৬০ আসন দেবে।