আওয়ার ইসলাম: সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কোনো ভূমিকা ছিল কিনা তা আবারও খতিয়ে দেখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতারা।
এর আগে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘এই শোচনীয় ঘটনার বিষয়ে ক্রাউন প্রিন্স হয়তো সবই জানতেন, হয়তো তিনি করেছেন অথবা হয়তো তিনি করেননি!
জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড ঘিরে থাকা সব সত্য আমরা হয়তো কখনওই জানতে পারবো না। যা কিছুই ঘটুক, আমাদের সম্পর্ক সৌদি আরবের সঙ্গে।’
দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ সেপ্টেম্বর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি।
ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাশোগি সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত এই সাংবাদিক সৌদি ফেরার বিষয়ে রিয়াদের চাপ অগ্রাহ্য করে আসছিলেন।
প্রথমে খাশোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করে আসলেও তুরস্কের কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যার বিভিন্ন প্রমাণ হাজির করতে থাকে।
একপর্যায়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ হত্যার কথা স্বীকার করলেও বিভিন্ন পর্যায়ে স্ববিরোধী ব্যাখ্যা হাজির করতে থাকে।
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র বরাতে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো দাবি করে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানই ওই খুনের আদেশটি দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবারের বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘সিআইএ ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয় শতভাগ নিশ্চিত হতে পারেনি।’
ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপাবলিকান সিনেটর বব কর্কার ও ডেমোক্র্যাট বব মেনেন্দেজ সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির পক্ষে ওই চিঠি দেন।
সূত্র: বিবিসি